কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ প্রবণতা বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়ত গুম, খুন, অপহরণ, গোলাগুলি বেড়েই চলেছে। অপরাধ প্রবণতা কমাতে এবং অপরাধীদের শনাক্ত করতে ক্যাম্পের ব্লকে ব্লকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে দিনে প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও রাতের দৃশ্য অনেকটা ভিন্ন। রাত হলেই সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এ সময় সাধারণ রোহিঙ্গারা আতঙ্কে থাকেন।
বিশেষ করে মহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনার পরে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর নাম। এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৫-২০টা সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে। যার মধ্যে আল ইয়াকিন-আরসা গ্রুপের নামই সবচেয়ে বেশি আলোচনায় উঠে আসে।
পুলিশের এক সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও উখিয়া থানায় অস্ত্র মামলা হয়েছিল ১৩টি। পরের বছর তা বেড়ে ১৭টি এবং ২০২০ সালে ২৭টি হয়। চলতি বছরে ১৫টি অস্ত্র মামলা হযেছে। ওই সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ১৪টি দেশীয় পিস্তল, ৪৪টি এলজি, তিনটি বিদেশি পিস্তল, ৩০টি একনলা বন্দুক, ২৫টির বেশি বন্দুক, চারটি পাইপগানসহ প্রচুর পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সব মিলে এই সময়ের মধ্যে ১২৩টি অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিসি ক্যামরা খুবই জরুরি। কাঁটাতারের বেড়ার সঙ্গেও চতুর্থদিকে সিসি ক্যামরা লাগানো দরকার বলে জানান তিনি।
জানতে চাইলে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, সিসি ক্যামেরা দিলে অপরাধ দমন করা সম্ভব। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহার, ক্যাম্পে তাদের ব্যবসা, তারা যেন এনজিওতে চাকরি করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি করা যাবে।
১৪ এপিবিএন এর এসপি নাঈমুল হক জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা খুবই জরুরি। সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অপরাধ কমানো সহজ হবে। পাশাপাশি অপরাধী শনাক্তও সহজ হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। হয়তো শিগগিরই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। সুত্র ' ঢাকা পোষ্ট