সড়ক থেকে রোহিঙ্গা প্রতিরোধে তৎপর নেই হাইওয়ে পুলিশ
রোহিঙ্গা চালকের নিয়ন্ত্রণে উখিয়ার বিভিন্ন সড়ক!
ফিটনেস বিহীন গাড়ি ও অদক্ষ রোহিঙ্গা চালকের দৌরাত্ম্য বেড়েছে উখিয়ায়। তার মধ্যে বেশিরভাগই ১৮ বছরের নিচে রয়েছে চালক। মাসোহারা দিয়ে নামকাওয়াস্তে চলছে ব্যাটারি চালিত টমটমগুলো।
কিছু অসাধু ব্যক্তি বেশি লাভের আশায় রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে চালকের আসনে বসিয়ে সড়কে লেলিয়ে দিয়ে বেলা শেষে গুনছে মোটা অংকের ভাড়া।।
রোহিঙ্গারা ডান বাম না বুঝে বিমানের গতিতে সড়কে এসব গাড়িগুলো চালাচ্ছে। যার কারণে বড় বড় গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে সাধারণ যাত্রী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আহত-নিহতের ঘটনা ঘটছে।
সম্প্রতি ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ লুচিয়া এলাকার নিহাল মন্ডলের ছেলে সোহেল রানা (২৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন উখিয়ায়। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩ জন। উখিয়ায় এভাবে প্রতিনিয়ত রোড় এক্সিডেন্টে ক্রমাগত বেড়েই চলছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পালংখালী,থ্যাংখালী, বালুখালী,কুতুপালং, উখিয়া স্টেশনসহ বিভিন্ন গ্রাম্য সড়কগুলো রোহিঙ্গা চালকরা দখল করে প্রতিযোগিতা মূলক যাত্রীদের আনা নেওয়া করছে।
উখিয়া টেকনাফ হাইওয়ে সড়ক থেকে যাত্রী তুলে গ্রাম্য সড়কগুলোতে ডুকতে ডান-বাম খেয়াল না করে প্রধান সড়কে বড় গাড়ির সাথে সংঘর্ষে হয়ে দুর্ঘটনা সৃষ্টি হচ্ছে। অনিরাপদ রোহিঙ্গা ড্রাইভারের কারণে সাধারণ যাত্রী নিজেদের গন্তব্য পৌছাতে পারছে না। উলটো বিভিন্ন ভোগান্তি নিয়ে হসপিটালে দৌড়াঁদৌড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীরা বুঝতেই পারছে না কোন টা লাইসেন্সধারী ড্রাইভার আর কোন টা রোহিঙ্গা অদক্ষ ড্রাইভার।
স্থানীয় বলছে, সমাজে কিছু অসাধু ব্যক্তির কারণে রোহিঙ্গারা আজ গাড়ি নিয়ে সড়কে আসছে। রোহিঙ্গাদের কেউ গাড়ি ভাড়া না দিলে, তারা গাড়ি নিয়ে সড়কে আসলে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা এত বেপরোয়া হতো না। এখন রোহিঙ্গাদের সাথে আঁতাত করে নিজেদের স্বার্থ আদায় করতে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ড্রাইভারের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দায় আমরা সকলের।
স্থানীয় এক অটো ড্রাইভার বলছে, রোহিঙ্গারা গাড়ি চালানোর নাম করে বিভিন্ন অবৈধ পন্য আনা নেওয়া করে। তারা যাত্রী ভাড়া কম রেইটে দিয়ে ভিতরে ভিতরে অবৈধ পন্যের ভাড়া মারে।
সাপ্তাহ দেড়এক আগে উখিয়া শাহপুরী হাইওয়ে ফাড়িঁতে এক সমাবেশে কুমিল্লা রিজিয়নের অ্যাডিশনাল ডিআইজি খাইরুল আলম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন রোহিঙ্গা চালকদের সড়কে উঠতে দেওয়া যাবে না। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণেই সড়কে যানযট ও অন্যন্য দুর্ঘটনার সমস্যার সম্মুখীন হয়।
তিনি এসব বললেই হাইওয়ে পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে কোন সময় রোহিঙ্গা ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে দেখা যায়নি।
উখিয়া শাহপুরী হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহাবুব জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ড্রাইভারের বিষয়ে অবগত আছি,কিন্তু তাদের ধরলে দেখা যায় স্থানীয় মালিকপক্ষ চলে আসে। স্থানীয় অনেকের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের গাড়ি ভাড়া দিবে না মর্মেও অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়ছে। আসল সমস্যা হচ্ছে নিজেরাই শুধরাচ্ছি না।নিজেরা সংশোধন হলে রোহিঙ্গাদের গাড়ি ভাড়া না দিয়ে দক্ষ লাইসেন্স আছে এরকম ড্রাইভারকেই গাড়ি ভাড়া দিতো স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত