নিউজ ডেস্ক::
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ব্যাপক নির্যাতনের জন্য দেশটির সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের কাছে নিজ দেশের অবস্থানের কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এমন বাস্তবতায় দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি টিলারসন।
‘ওই এলাকায় (রাখাইন) সংঘটিত নৃশংসতা নীরব দর্শকের মতো দেখতে পারে না বিশ্ব’, বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এদিকে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তা ও নৃশংসতায় জড়িতদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেসের ৪৩ জন আইনপ্রণেতা।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনের কাছে লেখা এক চিঠিতে কংগ্রেসেরন নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ওই সদস্যরা বলেন, রাখাইনে যা ঘটেছে তা দৃশ্যত অস্বীকারের চেষ্টা করছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তাঁরা রাজ্যটিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নেয়ার আহ্বান জানান।
আগস্টের শেষের দিকে রোহিঙ্গাদের ওপর লোমহর্ষক নির্যাতন শুরু করে মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের দোসর বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা। তারা নির্বিচারে হত্যা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন বয়সী নারীদের ধর্ষণ করছে। এমন বাস্তবতায় নজিরবিহীন সংকটে পড়ে রোহিঙ্গারা প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই ছুটে আসছে বাংলাদেশে।
টিলারসন বলেন, ওয়াশিংটন বুঝতে পেরেছে, মিয়ানমারে জঙ্গি সমস্যা রয়েছে। তবে সেনাবাহিনীকে নিয়মতান্ত্রিক ও সংযত উপায়ে সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হতে হবে। একই সঙ্গে ওই এলাকায় প্রবেশ উন্মুক্ত করতে হবে যাতে সংঘাতের প্রকৃত চিত্র বোঝা যায়।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই খবরগুলো (নৃশংসতা) সত্যি হলে এর জন্য দায়ী হবে একটি পক্ষ (সেনাবাহিনী)। মিয়ানমার আগামী দিনগুলোতে নিজেদের কোন দিকে চালিত করবে, তা দেশটির সামরিক নেতৃত্বের ওপর নির্ভর করছে।’
টিলারসন বলেন, মিয়ানমারকে গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রোহিঙ্গা সংকট সেনাদের সঙ্গে ক্ষমতা বিনিময় করা মিয়ানমার সরকারের জন্য একটি পরীক্ষা বলে মনে করছেন তিনি।
শীর্ষনিউজ