বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে তেমন কোন অগ্রগতি না হলেও প্রস্তুতি থেমে নেই। এরইমধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু, ঘুমধুম ও টেকনাফে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আরও তিনটি ট্রানজিট সেন্টার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ সেন্টারগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, ট্রানজিট সেন্টার নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরকে। তারা ট্রেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। আর জায়গা দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
মিজানুর রহমান আরও জানান, নতুন ট্রানজিট সেন্টারগুলো নির্মাণ হচ্ছে বান্দরবানের তুমব্রু, ঘুমধুম ও কক্সবাজারের টেকনাফে। এর আগে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প হয়েছে, একটি টেকনাফের কেরুনতলীতে ও আরেকটি উখিয়ার টিভি টাওয়ারের বিপরীতে বান্দরবানের ঘুমধুম অংশে। এছাড়াও টেকনাফের কেরুনতলীর জেটিটি মেরামতের জন্য ট্রেন্ডারও দেয়া হয়েছে, এই জেটিটিও মেরামত হবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, মূলত প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রানজিট সেন্টারগুলো করা হচ্ছে। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে এনে ট্রানজিট সেন্টারগুলোতে রাখা হবে। তারা হয়তো এক বা দু’রাত এই সেন্টারগুলোতে অবস্থান করবে। প্রতিটি ট্রানজিট সেন্টারে একসঙ্গে ৫০০ রোহিঙ্গা থাকতে পারবে।