বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। এর কারণ হিসেবে রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতির বরখেলাপকে দায়ী করছেন।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস)-এর আয়োজিত এক সেমিনারে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি রোহিঙ্গা এবং মিয়ানমার সরকারের মধ্যে যথেষ্ঠ অনাস্থা দেখতে পাচ্ছি। আশ্রিত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারকে বিশ্বাস করতে পারছে না। এটা মিয়ানমারের প্রতিশ্রুতি না রাখার কারণ।
নৌকায় সাগর পাড়ি দিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ১০০ রোহিঙ্গা
নির্বাচনের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে
রোহিঙ্গাদের পেছনে ব্যয় ৯৩৭৭ কোটি টাকা, ক্ষতি ২২০০ কোটি
রোহিঙ্গা প্রশ্নে মিয়ানমারের সমালোচনা করলেও দেশটিতে চলমান জটিল পরিস্থিতির কথাও তুলে ধরেন ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, মিয়ানমার জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার জন্য সমস্যার সমাধান খুব সহজ নয়। জটিলতা থাকার পরও আমি আশাবাদী। আমি মনে করি, রোহিঙ্গাদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে হবে। সেজন্য আরও উদ্যোগের প্রয়োজন হবে।
প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন মনে করে— প্রত্যাবাসন রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে নিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করছে চীন। উভয়পক্ষ চীনকে বিশ্বাস করে বলেই চীন মধ্যস্ততা করছে। চীন সামনের দিনগুলোতেও এ বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রত্যাবাসন অগ্রাধিকার জানিয়ে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কোনো রাজনৈতিক বিরোধ নেই। দুইবার চেষ্টা করেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন।
তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এত লোক স্থানান্তর সম্ভবও না। কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র কিছু রোহিঙ্গাকে তাদের দেশে নিয়ে গেছে, যেটা খুবই সামান্য।