প্রকাশিত: ০৭/০৯/২০১৭ ৬:০৬ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ১:৫৫ পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট::
রোহিঙ্গা সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধনযজ্ঞ শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।

গত সাত দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়েছে।এ সময় জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের ১০ হাজার গ্রাম।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের নির্মূলে ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা। এ ছাড়া আগে থেকেই বিভিন্ন ক্যাম্পে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা অবস্থান করছে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনেকেই এ দেশে বিয়ে-থা করে থিতু হওয়ার চেষ্টা করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গারা এখানে বিয়ে করে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভোটার তালিকাতেও নাম লেখাচ্ছে তারা।

স্থানীয়দের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে রোহিঙ্গা-বাংলাদেশি বিয়ে বন্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদি কোনো কাজী রোহিঙ্গাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিয়ে নিবন্ধন হলেও সেটি অবৈধ হবে। কাজী ছাড়াও যারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে।

তবে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের বিয়ে নিষিদ্ধের এই আদেশকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

তাদের দাবি, কোনো আইনেই কোনো জাতি, গোষ্ঠী, বর্ণ ও গোত্র বা কোনো দেশের নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করা যায় না।

পাঠকের মতামত

আরও ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে আট হাজারের মতো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। মিয়ানমার থেকে ...

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সোমবার প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করলে ড. ইউনূস বাংলাদেশে আশ্রিত ...