জসিম উদ্দিন টিপু :
টেকনাফে গভীর রাতে রোহিঙ্গা আনতে গিয়েই ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। প্রাণ রক্ষার্থে নদী পার হয়ে ফিরে এসেছে ১ জন।
২৯ আগষ্ট ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকায় বসবাসরত রোহিঙ্গা নজির আহমদের পুত্র রশিদ আহমদ, লাল মিয়ার পুত্র ইব্রাহীম এবং দক্ষিন লেদার কুব্বাসপাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র ফজল করিম,মৃত মোঃ হোছনের পুত্র আনোয়ার হোছন বাবুল, গফুরের পুত্র ঈমান হোছন ও মৃত আবু জাফরের পুত্র আবছার উদ্দিন ওপারে রশিদের ছেলে-মেয়েসহ অপর রোহিঙ্গাদের আনতে পৃথকভাবে নৌকা নিয়ে রইগ্যাদং ও পুছিংগ্যাপাড়া পয়েন্টে যায়। ওপারে সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত বিজিপি ও নাফ নদীতে টহলরত নেভির সদস্যরা উক্ত নৌকা সমুহে রোহিঙ্গা তোলার সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। তখন তারা পৃথক স্থান থেকে প্রাণ রক্ষার্থে পালিয়ে যায়। সকাল সাড়ে ১০টারদিকে লেদার মৃত আবু জাফরের পুত্র আবছার উদ্দিন একটি জারিকেনের (গ্যালন) সহায়তায় নাফনদী পার হয়ে বাড়ি আসে। অপর ৫জন নিখোঁজ রয়েছে। এই ব্যাপারে উক্ত আবছার উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে তবে তার রহস্যজনক আচরণে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাত থেকে তারা বাঁচার জন্য কৌশল অবলম্বন করলেও নিখোঁজদের পরিবারের মধ্যে কান্নাকাটি চলছে।
অপর একটি সুত্র জানায়,বিকাল ৩টারদিকে মৃত মোঃ হোছনের পুত্র আনোয়ার হোছন বাবুল,গফুরের পুত্র ঈমান হোছন মিয়ানমার থেকে মুঠোফোনে প্রাণে বেঁচে আছে এবং মুসলিম পাড়ায় সুস্থ আছে বলে জানালে তাদের পরিবারে স্বস্থি ফিরে আসে। স্থানীয় জনসাধারণ আরো জানায়,আনোয়ার হোছন বাবুল একজন মাদক ব্যবসায়ী। শরণার্থী ক্যাম্প থেকে বিয়ে করেছে। শ্বাশুড় বাড়ির স্বজনদের বাংলাদেশে আনতে তার সহযোগীদের নিয়ে মিয়ানমার সীমান্তে গেলে এই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই ব্যাপারে হ্নীলা ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আলী বলেন,বাহিরে অবস্থান করলেও মুঠোফোনে ওপারে রোহিঙ্গা আনতে গিয়ে দূঘর্টনা এবং নিখোঁজের বিষয়টি জানতে পেরেছেন বলে জানান। স্থানীয় সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মর্জিনা আক্তার ছিদ্দিকী বলেন,আমি বিশেষ প্রশিক্ষণে কক্সবাজার অবস্থান করছি। তবে এলাকায় এই জাতীয় একটি ঘটনা ঘটেছে বলে লোকজন থেকে জানতে পেরেছি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে।