মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টমাস অ্যান্ড্রুজ। সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে, গত মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের পাশাপাশি উত্থাপন করা রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে তিন দফা প্রস্তাবের জন্য বিশেষ প্রতিনিধি অ্যান্ড্রুজ প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা রাজ্যে একটি “বড় সংকট” সৃষ্টি করেছে এবং রোহিঙ্গাসহ বাস্তুচ্যুত ও অনাহারী মানুষদের জন্য জরুরিভাবে মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন।
’
তিনি আরো বলেন, ‘মিয়ানমারে কমপক্ষে ৩.১ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যার মধ্যে রাখাইন রাজ্যের শত হাজার মানুষ আছে, যেখানে বিদ্রোহীদের দলগুলো বছরের পর বছর ধরে মায়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
আরো পড়ুন
রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্সে ওয়ার্ল্ড ভিশনে নিয়োগ দিচ্ছে
কক্সবাজারে আদালত থেকে রোহিঙ্গা আসামির পলায়ন
তিনি উল্লেখ করেন যে, সাম্প্রতিক সপ্তাহে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইনে তাদের বাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, ইতিমধ্যে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব কক্সবাজার সীমান্ত জেলাগুলোতে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য একটি “জাতিসংঘ দ্বারা নিশ্চিত নিরাপদ অঞ্চল” তৈরি এবং তাদের সাহায্য করার উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘তাদের সাহায্য পাওয়ার জন্য এটি হবে সবচেয়ে ভালো জিনিস, রাখাইন সংকট নিরসনে এটি একটি “ভাল সূচনা” হতে পারে এবং হাজার হাজার নতুন উদ্বাস্তু বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে পারে।
’
প্রধান উপদেষ্টা রাখাইন সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিয়ে আসিয়ানসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আলোচনাকালে প্রধান উপদেষ্টা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের জন্য বিশেষ দূতের কাছ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন। বৈঠকে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা এবং সম্প্রতি বাংলাদেশে ছাত্র-নেতৃত্বে বিপ্লব নিয়ে আইসিসির তদন্তও আলোচনা হয়।
পাঠকের মতামত