উখিয়া নিউজ ডটকম::
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন এবং ত্রাণ তৎপরতা সমন্বয়ে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীর সভাপতিত্বে এক সভায় এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার এবং এনজিওগুলোর ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু সমন্বয়ের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১৪ হাজার আশ্রয়স্থল নির্মাণে কুতুপালংয়ের কাছে ২ হাজার একর জমি ব্যবহার করা হবে। প্রত্যেক আশ্রয়স্থলে ৬টি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এএফডি, বিজিবি, বিআরআরসি, ডিসি কক্সবাজার, ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ডব্লিউএফপি এবং অন্যান্য সংস্থা আজ থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এসব আশ্রয়স্থল নির্মাণ করবে। এমওডিএমআর এ কাজের সমন্বয় করবে।
ত্রাণসামগ্রী মজুত ও রক্ষণাবেক্ষণে আশ্রয়স্থলের কাছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ১৪টি ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করবে। ওয়্যারহাউজের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এমওডিএমআর এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসন এ কাজে সমন্বয় করবে।
বিদেশ থেকে পাঠানো ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করবে এএফডি।
তারা ত্রাণসামগ্রী কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের নির্ধারিত গুদামে পৌঁছে দেবে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ, পরিবহন ও গুদামজাতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। যথাযথভাবে বিতরণের জন্য নতুন আশ্রয়স্থলগুলো পৃথক ব্লকে বিভক্ত হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয, ডব্লিউএফপি অন্যান্য অংশীদার ও সংস্থার সহযোগিতায় আগামী ৪ মাসে ৪ লাখ শরণার্থীর খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করবে। কোন এলাকায় খাদ্য সরবরাহ করা না হলে আরআরআরসি তা তাৎক্ষণিকভাবে ডব্লিউএফপি’কে জানাবে। খাদ্য বিতরণের সময় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
এতে বলা হয়, এনজিও, বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিকে ত্রাণসামগ্রী সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। পরে জেলা প্রশাসক এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করবে। ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য এনজিওগুলোকে এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর অনুমতি নিতে হবে।
সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ডাব্লিউএফপি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সহযোগিতায় যথাযথভাবে ত্রাণ বিতরণে চাহিদা ও দৈনিক প্রাপ্তি নিশ্চিতের ভিত্তিতে আগামী দিনের জন্য স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করবে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য আবশ্যক ত্রাণসামগ্রীর পরিমাণ এবং এ মুহূর্তের জন্য প্রয়োজনীয় তাঁবুর সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ডিপিএইচই জরুরি ভিত্তিতে ৫শ’ অস্থায়ী এবং ইউএনএইচসিআর ৮ হাজার স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এ এলাকায় স্যানিটেশন ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দেবে।
সভায় বলা হয়, তথ্য মন্ত্রণালয় শরণার্থীদর সহায়তার জন্য আগ্রহী ব্যক্তি ও সংস্থাকে তাদের অর্থ বা ত্রাণসামগ্রী কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর সম্পর্কিত প্রচারণা টিভি স্ক্রল ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের ব্যবস্থা করবে। মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচারণার জন্য এমওডিএমআর/ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় থেকে সমন্বিত ও সর্বশেষ ত্রাণ তৎপরতার তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রচারের ব্যবস্থা করবে।
সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা শরণার্থী সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ের জন্য সমন্বয়কারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেবে।