রোহিঙ্গা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা উন্নয়নে নতুন মার্কিন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশিদের জীবিকা ও জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে ‘ইউএসএআইডি হোস্ট অ্যান্ড ইমপ্যাক্টেড কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাক্টিভিটি’ শীর্ষক নতুন প্রকল্প উদ্বোধন হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি উদ্বোধন করেন মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দূতাবাসের প্রেস ও মিডিয়া সমন্বয়কারী মেহেদী হাসনাত।
তিনি জানান, স্থানীয় সংস্থা ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের (এফআইভিডিবি) নেতৃত্বে পরিচালিত এই প্রকল্প জনগণকে চাকরির দক্ষতা প্রশিক্ষণ ও অর্থনৈতিক সুযোগ দেবে। এটি নিরাপদ পানীয় জল, স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থায় তাদের প্রবেশ অধিকতর উন্নত করবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে প্রস্তুত করবে।
মেহেদী হাসনাত বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে আশ্রয় প্রদানকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে একত্রিত করে ৩৫ হাজার হেক্টরেরও বেশি ভূমি রক্ষা এবং মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে আমাদের একত্রে কাজ করা ও স্থানীয় দক্ষতাকে কাজে লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, এজন্য আমরা সরকার, ব্যবসা, নাগরিক সমাজ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে স্থানীয় জনগণকে একত্রিত করে তাদের দক্ষতা ও সম্পদ দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে, যাতে তারা নিজেদের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।
মেহেদী আরও জানান, এই কর্মসূচি ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় মার্কিন সরকারের ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তার একটি সম্প্রসারিত উদ্যোগ। এর মধ্যে বাংলাদেশের শরণার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, হোস্ট অ্যান্ড ইমপ্যাক্টেড কমিউনিটি রেজিলিয়েন্স অ্যাক্টিভিটির অধীনে, এফআইভিডিবি নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট, ডেভওয়ার্কস ইন্টারন্যাশনাল, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, ক্রিশ্চিয়ান এইড এবং ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর ইমপ্যাক্ট ইভালুয়েশনের সঙ্গে একটি কনসোর্টিয়ামের নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে আনন্দ, আশিকা ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েটস এবং বলিপাড়া নারী কল্যাণ সমিতি, যারা এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অংশ নেবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত