উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজার থেকে মিয়ানমারের সীমান্তের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল লাইন স্থাপনের কাজ রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে দেরি হতে পারে।কক্সবাজার-মিয়ানমার সীমান্তের কক্সবাজার অংশে লাখ লাখ বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গার আশ্রয় গ্রহণের ফলে প্রকল্পের উল্লিখিত অংশের কাজ কবে কিভাবে শুরু হবে এ ব্যাপারে সংশয় দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকেও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মহল এই রেল সংযোগ সুবিধায় আঞ্চলিক ও আন্তঃদেশীয় পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণের যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন তাতে এখন হতাশার সুর বাজছে।
এদিকে, চট্টগ্রামের দোহাজারি-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণের কাজ সন্তোষজনকভাবে চলছে। বৈরি আবহাওয়া এবং জমিতে পানি জমে থাকার কারণে ব্রিজ ও পাকা অবকাঠামোর কাজগুলো আগে করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে দোহাজারি, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রামু ও কক্সবাজারের জমি পাওয়া গেছে। চকরিয়াসহ লোহাগাড়ার বাকি জমি বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। পুরো প্রকল্পের জন্য ১৩৭০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। সিংহভাগ ভূমি হাতে এসেছে। পানি শুকিয়ে গেলে আশা করা হচ্ছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে সড়কের মাটি উঁচু করা, বাঁধ নির্মাণ, পাইলিংসহ ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। অবশিষ্ট ভূমিও আগামী অক্টোবরের মধ্যে হাতে এসে যাবে।
তিনি জানান, প্রকল্পের সময়সূচি অনুসারে দোহাজারি-কক্সবাজার অংশের কাজ শেষ করার মেয়াদ ২০২২ সাল পর্যন্ত রয়েছে। তবে এই অংশের কাজ ২০২১ সালেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ করা যেতে পারে, দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুমধুম ১২৮ কিলোমিটার রেল লাইন প্রকল্পটি ২০১০ সালে প্রথম সরকারের অনুমোদন পায়।
এসময় কোনো সংস্থা অর্থায়নে এগিয়ে না আসায় প্রকল্প প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। এরই মধ্যে এডিবি অর্থায়নের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলে সরকার ২০১৬ সালে প্রকল্পটিকে পুনরায় অনুমোদন দেয়। বর্তমানে প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
পাঠকের মতামত