নুরুল আমিন হেলালীঃঃ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন নগরী কক্সবাজার মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দেশী-বিদেশী ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের বরণে নানা রঙে নানা ঢঙে সজ্জিত হয়েছে নব সাজে।”নতুন সকাল নতুন প্রাণ, নতুন সুরে নতুন গান, নতুন উষার নতুন আলো, ঈদুর ফিতর কাটুক ভালো”। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আবারো আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে পবিত্র ঈদুর ফিতর, আরো একটি নতুন ঈদ। ঈদ মানে হাসি, ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে বিশ্বের সকল মুসলমানদের শিখড়ে ফেরার উৎসব। ঈদ মানে খুশির আবাহন,নতুন প্রেরণা। নতুন করে স্বপ্ন দেখা,নতুন করে জাগ্রত হওয়া,নিজেকে তৈরী করা। মুসলমানদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের পর্যটক নির্ভর বিনোদন কেন্দ্র থেকে শুরু করে হোটেল-মোটেল,রেস্তোরা,ব্যাক্তি,সংঘটন,প্রতিষ্টানের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বাড়তি বিনোদন ব্যবস্থা। অভিজাত আবাসিক হোটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ হরেক বর্ণাঢ্য আয়োজনের । ঈদ উৎসবটি উৎসব মূখর পরিবেশে পালনের উদ্দেশ্যে পর্যটন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলোতেও বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আকাশ মেঘলা থাকায় পর্যটক আসার ব্যপারে সঙ্কিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মাতিয়ে রাখতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অভিজাত হোটেল-মোটেলগুলোতে কন্সার্ট, ফ্যাশন-শো, ডিজে শো, নামি দামি শিল্পিদের গানসহ নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। রয়েছে নানা পদের নানা স্বাদের পিঠা পায়েস সহ হরেক রকমের ঐতিহ্যবাহী দেশী-বিদেশী খাবারের রেসিপি। সেই মহেন্দ্রক্ষণকে উৎযাপন করতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও সেন্টমার্টিন, টেকনাফ শাহপরীর দীপ, ইনানী, হিমছড়ী, দুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, রামু রামকোর্ট, সোনাদিয়া, মহেশখালীসহ পর্যটন এলাকার প্রতিটি আবাসিক হোটেলগুলো প্রস্তুত রয়েছে অতিথি আপ্যায়নে। কক্সবাজারের ছোট-বড় অর্ধসহস্র হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো সেজেছে নতুন রঙে নতুন ঢঙে। পর্যটদের অবাধ বিচরনের নিরাপত্তার সার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা । এদিকে তারকা মানের হোটেল ওশান প্যারাডাইস, সীগাল, সী প্যালেস, কক্সটুডে, লংবীচ, সীলভারসাইনসহ ছোট-বড় অর্ধশতাধিক হোটেল মোটেলের অভ্যন্তরে আয়োজন করা হয়েছে খাবারের বাড়তি আইটেম, ডিজে পার্টি, ফ্যাশন-শো, কন্সার্টসহ নানা আয়োজনের । এ ছাড়া পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে কক্সবাজরের কয়েক হাজার দোকানে বার্মিজ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নতুন করে সেজেছে এবং রেস্তোরাগুলোতেও বাড়িয়েছে টক,মিষ্টি,ঝালসহ বাহারী খাবারের মেনু। তবে ঈদকে ঘিরে পর্যটক আকর্ষনে পর্যটন এলাকার সবকিছুতে নতুনত্বের ছোঁয়া লাগলেও আকাশ মেঘলা থাকায় পর্যটক আগমন নিয়ে সঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। কক্সবাজার জেলা রেস্তোঁরা মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মো:শফি জানান, বৃষ্টির কারণে আশানুরুপ পর্যটক হয়তো হবে না তবে পরিস্থিতি ভাল থাকালে কয়েক লাখ পর্যটক আসবে বলে তিনি আশা রাখেন। এই ঈদে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভাল থাকায় প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে লাখো পর্যটকের সমাবেশ ঘটতে পারে বলে তারা আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে জানান কক্সবাজার জেলা পুলিশ।