কায়রো: আল কায়েদাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনের ছেলে ওমর বিন লাদেনকে মিসরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। শনিবার স্ত্রী জেইনা আল সাবাকে নিয়ে দোহা থেকে মিসর যাওয়ার পথে নিরাপত্তারক্ষীরা ৩৪ বছর বয়সী ওমরের পাসপোর্ট দেখে আটকে দেয়।
তবে এ বিষয়ে বিশদ কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ। বলা হয়, দেশে প্রবেশে নিষিদ্ধ নামের ব্যক্তদের সাথে তার নামের মিল রয়েছে। আর সে কারণেই ওমরকে মিশরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
তবে তিনি বিমানবন্দর থেকেও বেরোতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেয়া হয়। কারণ জানতে চাইলে উপযুক্ত জবাব পাননি ওমর। উল্টে এক রকম জোর করেই তাদের তুরস্ক পাঠিয়ে দেয়া হয়। এর আগেও একবার মিসরে হেনস্থা শিকার হতে হয়েছিল তাদের।
ওমর বিন লাদেন ওসামা বিন লাদেনের চতুর্থ ছেলে। তিনি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী জানিয়া আল সাবাহর সঙ্গে ভ্রমণ করছিলেন। ওমর দোহা থেকে মিশরে পৌঁছেন। তবে সেখানকার বিমানবন্দরে তাকে আটকে দেয়া হয়। পরে দেশটির কর্তৃপক্ষ তাকে তুরস্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত দেয়।
ওমর ও জায়ানা ২০০৭ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মিশরে অবস্থান করেন। পরে আরো একবার তাকে মিশরে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হয়। এবারই তাকে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। এর আগে ২০০১ সালের দিকে বাবা ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন ওমর।
২০১০ সালে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওমর দাবি করেন, তিনি তার বাবার আদর্শে অনুপ্রাণিত নন। তাদের পরিবারের কেউই আল কায়েদার সঙ্গে জড়িত নন। তবুও বিভিন্ন সময় বাবার পরিচয়ের কারণে ও আল কায়েদার কর্মকাণ্ডে লাদেনের পরিবারের সদস্যরা সমস্যায় পড়ছেন। কিন্তু এসব কিছুর ঊর্ধ্বে উঠে লাদেনের সন্তান ও তাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভালো নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে চায়।
তিনি বলেন, ‘এদেশগুলিকে পুরনো ধ্যান ধারণা ত্যাগ করতে হবে। ১৯৯৬ সাল থেকে কিছু বছর আফগানিস্তানে কাটিয়েছিলাম বটে। কিন্তু ২০০০ সালের পর বাবার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। ভাই–বোনদের কেউ–ই আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও বাবার সন্তান হওয়ার মাসুল গুনতে হচ্ছে।’
ইরান ও সৌদি সরকারের সহায়তায় পুরো পরিবারকে এক করে বাবার আদর্শ ও কর্ম থেকে দূরে গিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন বলেও জানিয়েছিলেন ওমর।
২০১১ সালে পাকিস্তানের এক গোপন আস্তানায় মার্কিন সেনা কমান্ডোদের হাতে নিহত হন ওসামা বিন লাদেন। ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার জন্য ওসামা বিন লাদেন ও আল কায়েদাকে দায়ী করা হয়।