এম.বশিরুল আলম,লামাঃ
বান্দরবানের লামায় জে.এস.সি পরীক্ষা/১৬ এর লামা- ০৫ কোড নং-৪১২ কেন্দ্রের অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরীক্ষার হলে স্মার্ট ফোন ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে নির্ধারিত সম্মানীর অীতরিক্তি অর্থ দাবী, কক্ষ পরিদর্শক, হল সুপার ও দায়িতরত শিক্ষকদের সাথে খারাপ ব্যাবহারসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।
জে.এস.সি ও জেড.এস.সি পরীক্ষা/১৬ এর পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার-এর নিকট ৫ নভেম্বর দেয়া এক অভিযোগে এসব অনিয়মের তথ্য জানাগেছে। লামা গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব (কেন্দ্র লামা-০৫ কোডনং-৪১২) কর্তৃক স্বাক্ষরিত অভিযোগে জানাগেছে, ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে নিযুক্ত অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মো: আমিনুল হক পরীক্ষা চলা কালীন সময় হলে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে। তিনি স্মার্ট ফোনে শিক্ষার্থীদের ছবি ধারণ করে পরীক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে ছাত্রদের মনোযোগ বিঘিœত করছেন। এ কর্মকর্তার এসব বিধি পরিপন্থি র্কমকান্ড বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে, তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তার অনেক আত্মীয় আছে বলে অহেতুক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন। এসবের কারণে সে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় বানোয়াট অভিযোগ দাখিল করেছে বলে আবেদনপত্রে উল্লেখ রয়েছে। একই অভিযোগ এনে কর্তৃপক্ষ বরাবর জে.এস.সি ও জেড.এস.সি পরীক্ষা/১৬ এর সংশ্লিষ্ট ২৩ জন শিক্ষক স্বাক্ষতি আরেকটি আবেদনপত্রে উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তনের দাবী জানানো হয়। এ আবেদনে উল্লেখ করা হয়, একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তার যে গুণাবলি থাকার কথা, তার সেসব যোগ্যতা নেই। সচিব, সহকারী সচিব, হল সুপার, কক্ষ পরিদর্শকগন ২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক এধরণের বিধি বর্হিভুত আচরণ দেখিনি বলেও অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ ব্যপারে পরীক্ষায় নিযুক্ত অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলামের এর সাথে আলাপকালে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি জানান, গজালিয়া উচ্চ বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ দে পরীক্ষার নিয়ম কানুন মানেনা, এরজন্য আমি পরীক্ষা ক›েট্টালারের নিকট অভিযোগ করেছি। “আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার’র প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালন করে চলছি” কে পরীক্ষা পরিদর্শক, কে সচিব কাউকে আমি চিনি না” এছাড়া স্মার্ট ফোন ব্যবহারে আমি সচেতন থাকি, সূতরাং পরীক্ষায় অনিয়ম করতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।