এম.বশিরুল আলম,লামা::
লামায় এক গৃহবধুকে শারিরীক নির্যাতন করে গলায় দড়ি লাগিয়ে হত্যার ব্যার্থ চেষ্টা। স্বামীর হস্তক্ষেপে প্রাণে বেঁেচ গেলেন গৃহবধু পরুল বেগম (২৫)। শনিবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চিউনিমুখপাড়া পাড়াতে। জানাগেছে, চিউনিমুখপাড়ার বাসিন্দা ফারুখ হোসেন সকাল ৯টায় চা খেতে যায় দোকানে। কিছুক্ষণ পর ফারুখ পূনরায় ঘরে ফিরে দেখেন তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় চটপট করছেন। সাথে সাথে ফারুখকে চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে পারুলকে উদ্ধার করে দ্রুত লামা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান।
লামা হাসপাতালে ভর্তি পারুল জানান, শনিবার সকাল প্রায় ৯টার দিকে তার স্বামী ক্ষেতে কাজ করতে বের হন। এ সুযোগে ফারুখের মা ছায়েরা খাতুন, সৎ মা মাবিয়া থাতুন, বোন নুর নাহার, ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেন সংঘবদ্ধ হয়ে পারুলকে বেদম প্রহার করে। এক পর্যায়ে ফারুখের ভগ্নিপতি মোক্তার হোসেন পারুলের গলায় রশি লাগিয়ে ঘরের ভীমের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। তাৎক্ষনিক তাঁর স্বামী ফারুখ এসে উপস্থিত হয়ে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করে।
পারুলের স্বামী ফারুখ জানান, তার দুই মা, বোন, ভগ্নিপতি মিলে আজ সকালে তার স্ত্রী পারুলকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ভাগ্যক্রমে সে ওই সময় ঘরে না গেলে, এতক্ষনে পারুল আত্মহত্যা করার ঘটনা ছড়িয়ে পড়তো। পারুখ ও পারুল ২ সন্তানের জনক জননী।
এ ব্যাপারে পারুলের ভাই অলিউল্লা জানান, ফারুখের মা, বোন, ভাই ও ভগ্নিপতি সবাই মিলে বিভিন্ন সময়ে তাঁর বোনের উপর শারিরীক নির্যাতন করতেন। পারুলের স্বামী একজন ভালো লোক; তাছাড়া লোকলজ্জায় তারা বিষয়টি জানাজানি করেননি। সর্বশেষ শনিবার সকালে পরিকল্পিতভাবে প্রাণ নাশের ব্যার্থ চেষ্টার বিষয়ে থানায় মামলা করবেন বলে, অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া পারুলের ভাই অলিউল্লা জানান।