আলাদা দুই ব্যানারে মহান বিজয় দিবস ২০১৬ পালন করেছে লামা উপজেলা আওয়ামীলীগ। দিবসের প্রথম লগ্ন রাত ১২টা ১মিনিটে লামা উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ (মূলধারা) এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ, লামা উপজেলা ও পৌর শাখা নামে আরেকাংশ দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শহীদদের স্বরণে পুষ্পমাল্য অর্পন করে।
মূলধারার সকল কর্মসূচীর নেতৃত্ব প্রদান করেন লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল। অপর অংশের নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, জাতীয় পরিষদ সদস্য আজিজুর রহমান। পালাপাল্টি স্লোগান, মিছিল ও নানান আয়োজনে বিজয় দিবসে লামার রাজপথ ভিন্ন রুপ ধারণ করে। আওয়ামীলীগের পাশাপাশি বিজয় দিবসের কর্মসূচী পালন করেছে লামা বিএনপি। ত্রিমুখী অবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মোতায়েন ছিল উল্লেখ সংখ্যক পুলিশ। যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্ক ছিল আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। আওয়ামীলীগের (মুলধারা) আলোচনা সভা ও যাবতীয় কার্যক্রম লামা বাজারস্থ জেলা পরিষদ গেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামীলীগ আরেকাংশের কার্যক্রম ও সমাবেশ লামা বাজারস্থ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার পালিটোল মাঠে পরিচালিত হয়।
লামায় আওয়ামীলীগের কমিটি গঠনে নব্য আওয়ামীলীগের প্রধান্য, দলীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত, পুরাতন ও প্রবীণ নেতা কর্মীদের মতামতের অবমূল্যায়ন, দলের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত না করা, হাইব্রিট আওয়ামীলীগের আধিপাত্য বিস্তার, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রসন্ন কান্তি তংচংগ্যার পক্ষে কাজ করা নেতা কর্মীকে দল থেকে দূরে রাখা, মুষ্টিমেয় কিছু নেতাকে সুবিধা দিয়ে নেতাকর্মীর বিশাল একটি অংশকে বঞ্চিত করাই এই বিভক্তের কারণ বলে উল্লেখ করেছে বিদ্রোহী অংশের নেতৃত্ব প্রদানকারী নেতারা।
পাঠকের মতামত