বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ রুপকল্প বাস্তবায়নে সারা দেশের পাশাপাশি পার্বত্য অঞ্চলে ব্যপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। সরকার জনগনের চাহিদা বুঝে স্ব-উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছে। জন কল্যানে যেখানে যা প্রয়োজন, সেই উন্নয়ন হবে। ৩ সেপ্টেম্বর/১৬ লামা পৌরসভায় দু:স্থ মহিলাদের মাঝে ভিজিএফ চাল ও সমাপনী, জে.এস.সি/জেড.এস.সি, এস.এস.পি পরীক্ষায় জি.পি.ও-৫ প্রাপÍদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদান সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এসব কথা বলেন। লামা পৌর মেয়র জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্যদেন, বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের পক্ষে এডিসি রাজস্ব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বান চাকমা, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো: ইসমাইল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার পার্বত্য জনপদকে সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক উন্নয়নের জনপদ হিসেবে রুপ দিতে সক্ষম হয়েছেন। অতিতের সরকারগুলো পার্বত্য এলাকায় দৃশ্যত: কোন উন্নয়ন করে নাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীকৃত বান্দরবান থেকে ৫ বার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত বীর বাহাদুর এম.পি পাহাড়ী জনপদের উন্নয়নের রুপকার। সরকারের ব্যপক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত একটি মহল সাধুবেশে দিনের বেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মিশে যায়, আর রাতের বেলা ষড়যন্ত্রের দেয়াল তৈরি করে জনগনকে বিভ্রান্তি করার চেষ্টা করছে।
বক্তারা বলেন, ২০০২ সালে লামা পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করে পার্বত্য উন্নয়নের বীর, বীর বাহাদুর এম.পি এই এলাকার জনগনের সেবার মানোয়ন্ননে পৌরসভাটিকে ২০১৬ সালে ২য় শ্রেণিতে রুপান্তর করেছেন। মেরাখোলা মাতামুহুরী নদীর উপর গার্ডার ব্রীজ, আন্ত ইউনিয়ন সংযোগ সড়ক নির্মাণ, লামা প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলা উন্নয়ন, পৌর শহরে গনশৌচাগার, অতি সহসায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌরবাস টারমিনাল স্থাপনসহ লামা উপজেলায় ও পৌরসভায় ব্যপক উন্নয়ন কাজ হবে অনুষ্ঠান থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় মন্ত্রী ফাঁসিয়াখালী কুমারী বাজারে দু:স্থ মহিলাদের মাঝে ভি.জি.এফ-এর চাল ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত মাতৃত্বকালীন ভাতা বিতরণ করেন। দুপুর ১২টায় লামা সদর ইউনিয়নে, ১টায় গজালিয়া ও দুপুর ২টায় সরই ইউনিয়নে দু:স্থ মহিলাদের মাঝে ভিডিএফ চাল বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত