প্রকাশিত: ০৫/১০/২০১৬ ৯:১০ পিএম , আপডেট: ০৫/১০/২০১৬ ৯:১১ পিএম

mail-google-comএম বশিরুল আলম, লামা :
থানায় অভিযোগ না করে রাজপথে মানববন্ধন করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মূর্তি ভাঙ্গচুর ও ভুমি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে লামা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অভিযোগ করেছে। ব্যানারে উল্লেখ করা হয় “৩ অক্টোবর/১৬ রাত আড়াইটায় উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর বাজার এলাকায় মন্দিরে মূর্তি ভাঙ্গচুর ও দীর্ঘদিন ধরে “হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদের” ভুমি দখল করার দায়ে স্থানীয় “ আজিম্যা, জসিম্যা, জাকেয্যা গংদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন“।

অর্পন মহাজনের নেতৃত্বে মানব বন্ধনে বক্তারা “ভুমি দখল ও মূর্তিভাঙ্গচুরের সঠিক বিচার দাবী করে সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়। বক্তারা বলেন তাদের বহুদিনের পুরাতন শ্বশান দখল করার পায়তা করে স্থানীয় চেয়ারম্যান ভুমি দস্যুতা করছে।

এদিকে লামা থানায় কোন ধরণের অভিযোগ না করে এ ধরণের স্পর্শকাতর ঘটনা রটিয়ে রাজপথে মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন

করায় সচেতন সমাজ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বেলা ১২টায় মানব বন্ধন শুরু হয়। সাড়ে ১২টায় লামা সার্কেল এ.এস.পি মানববন্ধনস্থলে হাজির হয়ে বিস্তারিত জানেন। এসময় লামা সার্কেল এ.এস.পি জানায়, থানায় কোন অভিযোগ না করে মানববন্ধন করায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা বিব্রত হচ্ছে। মানববন্ধনে সাংগু মৌজা হেডম্যান প্রতিনিধি চম্পাট মুরুং, পৌরছাত্র লীগের সেক্রেটারী মংসাই মার্মা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্ঠান ঐক্য পরিষদের দপ্তর সম্পাদক  অংকিউ মং মার্মা বক্তব্য দেয়।

এব্যপারে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ জানায়, আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তার পরেও আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আদৌ এধরণের ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বিব্রতবোধ করেন। চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মজুমদার জানায় ভাঙ্গচুর বা জবর দখলের কোন ঘটনা ঘটেনি। তিনি জানান, অর্পন মহাজন গং ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করে আমাদের দীর্ঘলালিত সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। ২০১৫ সালেও একইভাবে মিথ্যাচার করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী জানান, কতিথ ভাঙ্গচুর এলাকায় গিয়েছি, বাস্তবতার নজির মেলেনি।

ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি লুৎফর রহমান জানায়, ঘটনার কাল্পনিক রুপদিয়ে অর্পন মহাজন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দেরকে নানাভাবে দোষারপ করে চলছে। আবুল কালাম, সিরাজ, মনির হোসেনসহ স্থানীয় অনেকে একই মন্তব্য করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে লামা কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন কমটির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ব্যবসায়ী নেতা বাবু বিজয় আইচ জানান, “মূর্তি ভাঙ্গচুরের কোন ঘটনা সংক্রান্ত ব্যপার আমার সাথে শেয়ার করা করা হয়নি”। তিনি জানায় অর্পন মহাজন কি করে না করে তা আমাদের জানার কথা নয়, কারণ তার বা তার সংঘঠনের ব্যপারে আমি কিছু জানিনা।

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি অর্পন মহাজন গং এলাকার অনেক গন্যমান্যদেরকে ভুমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন। কিছুদিন পরপর লামা ফাঁসিয়াখালী বনপুর এলাকায় কাল্পনিক ঘটনার রুপদিয়ে প্রশাসনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে এলাকার সুনাম ক্ষুন্নকারী অর্পন মহাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবী জানিয়েছেন, স্থানীয় আমির হোসেন, জাবের মিয়া, মো. করিম, নবাব মিয়া, আবুল হোসেন, পারভিন আক্তার, রোমানা বেগম, আ:সাত্তার, মিরাজ, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। স্থানীয়রা আরো জানায়, ২০১৫ সালে একই স্থানে হিন্দ মন্দির ভেঙ্গেছে মর্মে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিল অর্পন মহাজন গং।

বিষয়ের সরেজমিন সত্যতা যাচায়ের দাবী করেছে লামাবাসী।

পাঠকের মতামত

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সঠিক তথ্যসেবার বিকল্প নেই

আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সাংবাদিকরা তথ্যসেবার মাধ্যমে রাখতে পারেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশেষ করে ...

উখিয়ায় রেস্টুরেন্টের স্ক্রিনে নি’ষি’দ্ধ ‘ছা’ত্রলী’গের ফেরার বার্তা!

কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে ‘ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে’। মঙ্গলবার ...