এম.বশিরুল আলম,লামাঃ
বান্দরবান লামা ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে ধর্ষণ। গত ১২ নভেম্বর ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের পাগলীর আগা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নাছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রকাশ নয়ন (২০) দশম শ্রেণির ছাত্র। এ ব্যপারে ১৮ নভেম্বর/১৬ ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে লামা তানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজারে জানাগেছে, ধর্ষন শেষে স্কুল ছাত্রীকে একটি বাগানে অচেতন অবস্থায় রেখে গেলে বাগানের ম্যানেজার মোতাহের হোসেন তাকে উদ্ধার করে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে। ইউনিয়নের পাগলীর আগা এলাকায় গত ১২ নভেম্বর শনিবার এই ঘটনা ঘটে। লামা থানায় এ বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর শনিবার সকালে ফাঁসিয়াখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ঐ ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নাছির মাষ্টারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়ন (২০) একা পেয়ে ছুরির ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে জোর করে তাকে ঘুমের ওষুদ খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষন করে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টায় পাগলীর আগা এলাকার ডালডা বাগানে মেয়েটিকে ফেলে রেখে যায়। বাগানের ম্যানাজার মোতাহের হোসেন মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে তার বাবা মা কে খবর দেন। বাবা-মা আসতে বিলম্ব হওয়ায় বুধবার সকালে বাগান ম্যানাজার স্থানীয় ভিডিপি জাফর আলমের মাধ্যমে ছাত্রীকে তার মা-বাবার কাছে পৌছে দেন।
এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে লামা থানায় আব্দুল্লাহ আল নোমান নয়ন সহ ৪জনকে এবং অজ্ঞাতনামা ৩জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জায়েদ নূর জানিয়েছেন, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।