বান্দরবন প্রতিনিধি::
পবিত্র ঈদ-উল- ফিতরের দিন লামার মিরিঞ্জায় সড়ক দূর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত হয় ৪জন। নিহত জাহেদুল ইসলাম (১০), আসাদ (১২), ছরোয়ার হোসেন (১২) ও মঞ্জুর আলম (৪২) এর লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার অভিযোগ উঠেছে।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, চিকিৎসার জন্য আহত নিহত সবাইকে চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। নিহতদের প্রাথমিক সুরহাতাল করা হলেও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। এদিকে দূর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন মামলা করা হয়নি বলে তিনি জানান। আরো বলেন, নিহতের স্বজনরা ময়নাতদন্ত করতে অনিহা প্রকাশ করে এবং মামলা করতে রাজি হচ্ছেনা।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান সহ নিহতদের প্রাথমিক সুরহাতাল রিপোর্ট করা হয়েছে। সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের ময়নাতদন্তের প্রয়োজন হয়না।
খবর নিয়ে জানা গেছে, আলীকদম ও চকরিয়ায় সোমবার রাতে তড়িগড়ি করে লাশ গুলো দাফন করা হয়। আর এতে করে সফল ভাবে রক্ষা পেল ফিটনেস বিহীন জীপ গাড়ী (ঢাকা-ল-২১২), চালক ও মালিকরা। এইভাবে অপরাধীরা বারবার রক্ষা পেয়ে যাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে আইন ভাঙ্গার প্রবণতা বেড়ে চলেছে বলে জানায় যাত্রী সাধারণ।
অপরদিকে একই ঘটনায় আহত ২৫ জন যাত্রী চকরিয়া ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। যাদের কোন প্রকার খোঁজ খবর নেয়নি গাড়ীর মালিক ও জীপ মালিক সমিতির নেতারা। আহত সুমিত বড়ুয়া, অপু চাকমা ও নুর আলম জানান, টাকা অভাবে আমরা চিকিৎসা করতে পারছিনা। কেউ আমাদের খোঁজ খবর নেয়নি। এছাড়া গাড়ীতে প্রায় ৭০ লিটার দেশীয় চোলাই মদ ছিল। সেই ব্যাপারেও কোন মামলা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৬ জুন সকালে আলীকদম থেকে ৫৬ জন যাত্রী বোঝাই করে চকরিয়া যাচ্ছিল ফিটনেস বিহীন জীপ গাড়ীটি। পথে মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় এসে গাড়ীটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে মুচড়ে যায়।