ঢাকা : লাল টকটকে লিচু সাজানো দেখে জিভে জল আসবেই। দরদাম করে সাধের লিচু হাতে ঝুলিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন। তারপর বাড়িতে ফিরে হাত-পা ধুয়ে সোফায় এলিয়ে বসে মিষ্টি লিচু যেই না জিভে দেয়া... আহা কি অমৃত। কিন্তু মশাই, অমৃতের সাধে বিষ শরীরে গেল কি না ভেবে দেখেছেন? তাহলে একটু দেখেই নিন আপনি লাল টকটকে লিচুর বদলে কি কাচ্ছেন।
এই ভিডিওটি সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। স্থান-কাল স্পষ্ট না হলেও ভিডিওটিতে দেখা গেছে, এক ব্যবসায়ী প্রকাশ্যেই লিচুতে লাল রং মেশাচ্ছেন। যে রংকে আপনি লিচুর স্বাভাবিক রং ভাবছেন। না জেনেই মারণ বিষ কিনছেন। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন নিজের পরিবার-পরিজনকে।
ব্যবসায়ীরা জানান, লিচু পাকার পর সেগুলোকে বেশিদিন সংরক্ষণ করা যায় না। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। সে কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা কাঁচা লিচুতেই লাল রং লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করছে।
এদিকে গত বছরের এই সময় লিচু খেয়ে মারা যায় দিনাজপুরের ১১ শিশু। তাদের মৃত্যু নিয়ে রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) কীটনাশকের প্রভাবকে শিশু মৃত্যুর কারণ হিসেবে লিচুকে দায়ী করে। এ ঘটনার পর থেকে এখনো আতঙ্ক কাটেনি লিচু পল্লীতে বসবাসকারী পরিবারগুলোর। প্রতিটি মুহূর্ত তাদের শঙ্কায় কাটে। পাহারা দিয়ে রাখা হয় শিশুদের যেন তারা লিচু বাগানে ঢুকে কীটনাশক দেয়া লিচু যেন কুঁড়িয়ে খেতে না পারে।
এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘লিচু বাগানে কীটনাশক স্প্রের বিষয়টি আমরা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি। প্রতিটি বাগানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাছাড়াও নিরাপদ ফল উৎপাদনে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন বাগান এলাকাগুলোতে সভা ও সেমিনার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা কৃষি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে বাগান থেকে লিচু পেড়ে পরে রং মেশানো হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে।’
বাংলামেইল