গোসল করলেও এ শাড়ি ভিজবে না। লেপ্টে যাবে না শরীরের সঙ্গে। এতে আব্রু বজায় থাকবে নারীদের। বাঁচা যাবে লম্পটদের লোলুপ দৃষ্টি থেকে। এমন অভিনব ভাবনাটি হিন্দুস্তান ইউনিলিভার গ্রুপের। দেখতে সাধারণ শাড়ির মতোই, বাসন্তি রঙের জমি ও সবুজ পাড়। এ শাড়ির উপরে রয়েছে একটি ওয়াটারপ্রুফ কোটিং। ফলে বহুবার গোসল করলেও এ শাড়ি ভিজবে না।
সম্প্রতি এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত কুম্ভমেলার বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে ‘সরস্বতী স্নান’র দিন পুণ্যার্থী নারীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় এ শাড়ি। এ ধরনের উদ্যোগে অনেক সাধুবাদ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কারণ নারীরা পুণ্য অর্জন করতে আসেন, পবিত্র গোসলে তাদের দেহ ভিজে যায়। এরপর অনেক দ্বিধা নিয়ে কৌতূহলী চোখ পেরিয়ে তাদের পৌঁছতে হয় কাপড় পাল্টানোর স্থানে। তাই এ বছর কুম্ভমেলায় নারীদের পোশাক পাল্টানোর ব্যবস্থাও করেছিল ‘হামাম’।
জানা যায়, এ ধরনের গোসলে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাহানী হয় নারীদের। পানিতে ভেজা কাপড় শরীরে লেপ্টে থাকে। পুণ্যস্নানে ব্যস্ত নারীদের এ স্বাভাবিক দৃশ্য আদৌ স্বাভাবিক থাকে না। দুষ্টুবুদ্ধির কিছু মানুষের কারণে সে ছবি হয়ে যায় অস্বস্তিকর। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা এ সমস্যার সমাধান করল বিশেষভাবে তৈরি ‘ওয়াটারপ্রুফ শাড়ি’।
এ প্রসঙ্গে ইউনিলিভার গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার হরমন ধিলোঁ বলেন, এর মাধ্যমে আমরা চাই নাগরিকদের নানা ধরনের সুরক্ষার পরিবেশ দিতে, তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে। উদ্যোগটি শুধু নারীদের মর্যাদা রক্ষার জন্য নয়, তাদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন খুবই জরুরি।
ওয়াটারপ্রুফ শাড়ির উদ্যোক্তা চিফ ক্রিয়েটিভ অফিসার সুকেশ নায়েক বলেন, অজস্র লোলুপ দৃষ্টির সামনে লজ্জিত না হয়ে যাতে নারীরা নিশ্চিন্তে পুণ্যস্নান করতে পারেন, সে জন্যই আমাদের এ উদ্যোগ।
পাঠকের মতামত