এলাকার আধিপত্য কিংবা দলীয় পদপদবি নিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নতুন নয়। অনেক এলাকায় মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের বিরোধ সারা বছরই লেগে থাকে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের এ কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের ব্যক্তিগত এই কলহ জেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা দেশে শতাধিক আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে এখন চরম দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে। দলের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হওয়া এই দূরত্ব ও প্রায় প্রকাশ্য কাদা ছোড়াছুড়ির প্রভাবে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিজয় অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক এই বিভেদের নিরসন না হলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলা করাও দুরূহ হয়ে পড়বে বলে মনে করেন অনেকে।
জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে অধিকাংশ আসনেই বর্তমান সংসদ সদস্যের সঙ্গে অন্য নেতাদের কমবেশি বিরোধ রয়েছে। তবে শতাধিক আসনে এই দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। নিজ নিজ আসনে আধিপত্য ধরে রাখা ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশীরা বর্তমান সংসদ সদস্যকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। নানা মাধ্যমে সত্য-মিথ্যা নানা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। আবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অযোগ্য প্রমাণ করে নিজের মনোনয়ন নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যরাও তৎপর। অনেক এলাকায় দলীয় কর্মসূচি পালিত হয় আলাদাভাবে। মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের এ ধরনের অবস্থানের কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।
গত আগস্টে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এ ধরনের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধের নির্দেশ দেন। দলীয় প্রধানের এই হুঁশিয়ারির পরও বন্ধ হয়নি এই প্রবণতা। বরং নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভেদ ততই বাড়ছে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং নীতিনির্ধারকদের কাছে জমছে অভিযোগের পাহাড়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কালবেলাকে বলেন, ‘দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল মেটাতে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত শক্ত। বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম এসব বিরোধ সম্পর্কে সচেতন ও নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করছে। যেসব অভিযোগ আসে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে আশা করি এসব অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব অচিরেই দূর হবে।’
জানা গেছে, নির্বাচনী তপশিল ঘোষণার আগেই বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম জেলা সফরে যাবে। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের নেতৃত্বে গঠিত ওই টিমের নেতারা দ্বন্দ্ব নিরসনে জেলার নেতাকর্মী ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে সভা করবেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কালবেলাকে বলেন, ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব-কোন্দল বৃদ্ধি পেয়েছে মূলত প্রতিটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী থাকার কারণে। তাদের কেন্দ্র করেই তৈরি হয়েছে গ্রুপিং। এই গ্রুপিং যেন দলের ক্ষতির কারণ না হয়ে দাঁড়ায়, সেজন্য দলীয় নেতা ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক করে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত জেলা সফর করবে বিভাগীয় প্রতিনিধি দল।’
দলীয় সূত্র জানায়, সারা দেশে সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রতিনিধিদল ও দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগে বর্তমান সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন থেকে শুরু করে নিজের আধিপত্য রক্ষায় তৃণমূলের নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংশ্লিষ্টদের জায়গা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের ৭৭টি ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮১৩ জন আহত ও ১১ জন নিহত হন।
জানা গেছে, খুলনার কয়রায় জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামানের বক্তব্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জি এম মহসীন রেজার বাগবিতণ্ডার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সংসদ সদস্যকে হাতের ইশারায় থামিয়ে উচ্চ স্বরে রেজা বলেন, ‘অনেক হয়েছে, আপনি এভাবে আর দলের বারোটা বাজাবেন না।’
শোক দিবসের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জামালপুরের ইসলামপুরে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হোসনে আরাকে লাঞ্ছিত করেন স্থানীয় এক নেতা। এ নিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ও তার ভাই দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল আলমের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন হোসনে আরা।
গাজীপুর-১ আসনে দলীয় মনোনয়নের আশায় শোক দিবসের অনুষ্ঠান আলাদা আলাদাভাবে পালন করেছেন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য রুমানা আলী টুসী ও তার ভাই জামিল হাসান দুর্জয়। দীর্ঘদিন থেকেই অভ্যন্তরীণ কলহে আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য রহমত আলীর এ দুই সন্তান এক মঞ্চে আসেন না।
দলীয় কোন্দলে জর্জরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবাদুল করিম বুলবুল ও সাবেক সংসদ সদস্য এবং নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের মুখ দেখাদেখি বন্ধ। তারাও আলাদাভাবে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন।
গত ২৯ জুলাই কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ঢাকা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম এবং কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়।
চট্টগ্রাম-১ আসনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিভেদ প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার ছেলে জনসংযোগে হামলা করেছেন বলে এলিটের অভিযোগ।
ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও বর্তমান এমপি হাজী সেলিমের দ্বন্দ্ব পুরোনো। এর সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিমের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার মাধ্যমে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে হট্টগোল হয়। এই ঘটনার জেরে সম্মেলন স্থগিত করে হুমায়ুন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় আওয়ামী লীগ।
চাঁদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে সদর আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। দীপু মনি উপস্থিত থাকলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল এবং তাদের অনুসারীরা কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেন না।
গত মে মাসে পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন দশমিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন। একই দিন এমপি সমর্থকরাও ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন।
গত ১৭ মার্চ পটুয়াখালী-২ আসনে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে এ ঘটনা তুলে ধরা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদের পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে।
বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথের সঙ্গে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিরোধ চরমে। স্থানীয় মেয়রকে কোপানোর হুমকি দিয়ে থানার ওসির সঙ্গে তার কথোপকথনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে পঙ্কজ দেবনাথকে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
গত ৬ জুন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। কুমিল্লা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হক ও চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
নাটোর-২ আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দীর্ঘদিনের। মূলত সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের নেতৃত্বে দুই ভাগে বিভক্ত জেলার রাজনীতি। চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণার পর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
রাজশাহী-১ আসনের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব চরমে।
নোয়াখালী-৪ আসনের (সদর) এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গেও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দ্বন্দ্ব মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর সঙ্গে ফরিদপুর-৫ আসনের এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের প্রকাশ্য বিরোধ এক যুগ ধরে। গত দুটি নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিক্সনের কাছে হার মানতে হয় দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতা জাফর উল্যাকে।
টাঙ্গাইল-২ আসনের এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। টাঙ্গাইল-৮ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের সঙ্গে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ অনেক নেতার বিরোধ এখন প্রকাশ্যে। সম্প্রতি সখীপুরে সমাবেশ করে এমপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বক্তব্য দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে সাঁওতালদের জমি দখলের অভিযোগে কয়েকটি মানববন্ধন হয়েছে। এই আসনে অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এমপির নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সঙ্গে দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের দ্বন্দ্ব পুরোনো।
লালমনিরহাট-২ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার ভাই মাহবুবুজ্জামানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্যে।
ময়মনসিংহ-১ আসনের হালুয়াঘাটে বর্তমান এমপি জুয়েল আরেং ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হকের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি বহুদিনের। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি শাজাহান খানের দ্বৈরথে ওই এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও পাল্টাপাল্টি মন্তব্য করেন শাজাহান খান ও বাহাউদ্দিন নাছিম।
এ ছাড়া নরসিংদী-৩ আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক মোহন, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পটুয়াখালী-৪ আসনের মুহিবুর রহমান, বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, ভোলা-৩ আসনের নুরন্নবী চৌধুরী শাওন, ভোলা-৪-এর আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, ঝিনাইদহ-৪-এর আনোয়ারুল আজিম আনার, কুষ্টিয়া-৪-এর আসনের সেলিম আলতাফ জর্জ, কুড়িগ্রাম-৪-এর জাকির হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩-এর আব্দুল ওয়াদুদ, রাজশাহী-৪-এর এনামুল হক, পাবনা-৫-এর গোলাম ফারুক প্রিন্স, খুলনা-৩-এর বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, বরিশাল-২-এর শাহ আলম, পিরোজপুর-১-এর শ ম রেজাউল করিম, জামালপুর-৪-এর ডা. মুরাদ হাসান, নেত্রকোনা-৫-এর ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, কিশোরগঞ্জ-২-এর নুর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ-৫-এর আফজাল হোসেন, মানিকগঞ্জ-২-এর মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ-৩-এর জাহিদ মালেক স্বপন, রাজবাড়ী-২-এর জিল্লুল হাকিম, ফরিদপুর-৩-এর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাদারীপুর-৩-এর আব্দুস সোবহান গোলাপ, শরীয়তপুর-২-এর একেএম এনামুল হক শামীম, ফেনী-২-এর নিজাম উদ্দিন হাজারী, কক্সবাজার-১-এর জাফর আলম এবং কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম আরোয়ার কমলের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এসব এলাকায় এমপি বনাম মনোনয়নপ্রত্যাশীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থান চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে জানা গেছে। সুত্র: কালবেলা
পাঠকের মতামত