কালো টাকার জোরে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরও শপথ গ্রহণ করতে পারেননি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল হুদা।ইয়াবা পাচার, খুন ও অস্ত্র লুট সহ একাধিক মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে সে দীর্ঘ সময় পলাতক থাকলেও বর্তমানে কোটি টাকার মিশন নিয়ে শপথ নেওয়ার জন্য দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সীমান্ত শহর টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ অনুষ্ঠান গত ২০ জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে সম্পন্ন হলেও ওই শপথ অনুষ্টানে স্ব-শরীরে উপস্থিত হতে না পারায় হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য নুরুল হুদা শপথ গ্রহণ করতে পারেনি বিধায় তার ওয়ার্ডে পুন: নির্বাচন হতে পারে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাচন অফিসার নুরুল ইসলাম। তিনি জানান, শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য নুরুল হুদাকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকার কারণে ওই সময় সে পলাতক ছিল।
টেকনাফ থানা সূত্রে জানা গেছে, হ্নীলা ইউনিয়নের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল হুদা হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সরওয়ার কামাল হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত ২নং আসামী। তাছাড়া ২০১৪ সালে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবাপাচারকারী নুর মোহাম্মদের মৃত্যুতে ইয়াবার নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল হ্নীলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত সদস্য ও নুর মোহাম্মদের ভাই এই নুরুল হুদা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা স¤্রাট নুরুল হুদা গোপনে শপথ নেওয়ার জন্য কোটি টাকার মিশন নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে দেন দরবার চালিয়ে যাচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে স্থানীয় জনমনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র লুট, ্ইয়াবা পাচার সহ আগে ১১টি মামলা ছিল। তিনি কর্মস্থলে যোগদান করার পর আরো একটি মামলা হয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শফিউল আলম জানান, এ ধরনের কোন গেজেট বা আদেশ নিদের্শ তার হাতে আসেনি বিধায় শপথ গ্রহণের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।