কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় গত ঈদের দিন জঙ্গি হামলার মামলার আসামি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার শফিউল ইসলামের লাশ নিতে চান তাঁর মা নার্গিস সুলতানা।
শফিউল গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঘোড়াঘাটের দেবীপুর গ্রামে শফিউলদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, শফিউলের মা নার্গিস সুলতানা তাঁর দুই মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করছেন। পাশে পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে শফিউলের মা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাপের (শফিউলের বাবার) দোকানটা পুড়ে দেওয়ার পর হামার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেল। ছোটলা (শফিউল) মাস ছয়েক আগে চোখের আড়ালোত চলে গেল। কোটে কি করল হারাতো কেউ কিছুই জাননো না। বড় কোনো অপরাধ যদি করেই থাকে দেশোত তো ফাঁসি আছে। ছোলটাক মোর বিচার করে ফাঁসি দিলো হয়, তা–ও তো শান্তি পানো হয়।’
লাশ নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে নার্গিস বেগম বলেন, ‘শফিউল যা কিছু করছে হামার (পরিবারের) অগোচরোত। হারা যদি এনাও বুঝা পারনো হয় ছোটলা (শফিউল) জঙ্গি হছে, তা হলে যেঙ্কারে হোক হারা ওক (শফিউলকে) ওই পথোত তে ফিরে আননো হয়।’
সন্তানের লাশ নির্বিঘ্নে ফিরে পেতে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়ে নার্গিস সুলতানা বলেন, ‘যেই ছোলোক মুই পেটোত ধরছো সেই ছলটার মুখটা দেখে বাড়ির ধারোত নিজ হাতোত কবরটা দিবা চাও। সরকার মোর ছলের লাশটা যেন দেয়।’
গত ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য, এক নারী, সন্ত্রাসীসহ চারজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারী শফিউলকে। এরপর গতকাল নান্দাইলে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন শফিউল। প্রথম আলো
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্রিটেনের দুর্নীতিবিরোধী ...
পাঠকের মতামত