নিজস্ব প্রতিবেদক ।
টেকনাফর পৌর সভার দুটি পয়েন্ট দিয়ে প্রতিদিন আসছে আদম। হেচ্ছার খাল ও উত্তর নাইট্যংপাড়ার এই দুটি পয়েন্ট দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মিয়ানমারের নাগরিক (আদম) পারাপারের ঘাট ও রাতে চোরাইপণ্যের হাঁট বসলে ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিরবতায় এ সমস্ত অপকর্মের সাথে জড়িত রা এখন আরো বেপরোয়া!
জানা যায়, টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের অধীন হেচ্ছার খাল পয়েন্টে ও উত্তর নাইট্যং পাড়ার একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট অবাধে আদম ঘাট স্থাপন করে বেশ কিছুদিন যাবৎ অবৈধ উপায়ে মোটা অংকের বিনিময়ে রোহিঙ্গা পারাপার করে আসছে। এই আদম ঘাট দিয়ে ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত মিয়ানমারের পেরামপুরো ও মংডু সংলগ্ন আশিক্কাপাড়ার রোহিঙ্গারা যাতায়াত করে থাকে। আবার রাতের অন্ধকারে মিয়ানমারে পাচার হয় ডিপু ইনজেক্শন, বাংলাদেশী ঔষধ, মোটর সাইকেল, ভোজ্য তেল ইত্যাদি, মিয়ানমার থেকে এই ঘাটটি দিয়ে আসে কারেন্ট জাল,মদ বিয়ার ও ইয়াবার বিশাল চালান। নাইট্যং পাড়ার শফি উল্লাহ শফি, মোঃ ফরিদ, আব্দুল আমিন,শাসমু (গঙ্গিমা), মাহমুদুররহমান প্রকাশ মাদু এ দুটি ঘাট নিয়ন্ত্রন করছে। এসবের মূল নেতৃত্বে আছে শফি উল্লাহ। উক্ত শফি আদম ঘাট ও ইয়াবা ব্যাবসাকে পুঁিজ করে এখন কোটিপতি। তার নামে বেনামে অনেক জমি, বসুন্ধরার ষ্টাইলে আলীশান বাড়ী রয়েছে। শফির নেতৃত্বে উল্লেখিত সিন্ডিকেট সীমান্ত রক্ষীর চোখ ফাঁকি
দিয়ে চালাচ্ছে আদম পাচারের ঘাট। ইয়াবার বড় বড় চালান ও সরাসরি ঢুকে পড়ছে পৌর সভার অভ্যান্তরে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইয়াবার চালান পাচারের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকীর নেতৃত্বে জওয়ানরা ১ লাখ পিচ ইয়াবার একটি বড় চালান জব্দ করে। এসময় দুই পাচারকারী পালিয়ে যায় বলে জানায় বিজিবি। এর আগে গত ২৮ আগস্ট ভোরে একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিজিবি জওয়ানরা ৯০লক্ষ টাকা মূল্যের ৩০ হাজার পিস ইয়াবার একটি চালান উদ্ধার করেছিল।
সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ পত্রে টেকনাফের নাইট্যং পাড়া ও হেচ্ছার খালের ব্যাপারে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশের পর সীমান্তে দায়িত্বরত আইনশৃংখলা বাহিনী সক্রিয় হলেও তাদের ব্যাবসা থেমে নেই। গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে কোষ্ট গার্ডের একটি দল আদম ঘাটে হানা দিলে বেশ কয়েকজন আদম সহ শফি,গঙ্গিমা, আব্দুল আমিন, মা‘দু পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী সীমান্তের চোরাচালান প্রতিরোধ ও অধৈ পথে মিয়ানমার নাগরিক(আদম) পারাপার বন্ধে নাইট্যং পাড়ার চিহ্নিত সিন্ডিকেট কে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমাদের ষ্ট্রং একটি টহলদল সড়ক পথে ও নাফনদীতে টহলে থাকে।আদম ঘাটের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের কে আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঠকের মতামত