সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার, উখিয়া নিউজ ডটকম।
প্রকাশিত: ২৪/০১/২০২৪ ১০:২১ এএম

কক্সবাজার জেলার একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় জাতীয় সংসদের হুইপ হওয়ার গৌরবে শাহজাহান চৌধুরীর সাথে এবার ভাগ বসালেন সাইমুম সরওয়ার কমল। সরকারি দলের হুইপ হিসাবে সাড়ে ৪ দশক অর্থাৎ প্রায় ৪৪ বছর কক্সবাজার জেলায় শুধু এই গৌরব অর্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। তিনি দ্বিতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ ছিলেন। এবার দ্বাদশ সংসদে সরকার দলের হুইপ হিসাবে মনোনীত হয়েছে কক্সবাজার-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জয়লাভ করে। তারা জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন লাভ করেছিলে। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন রামু-উখিয়া-টেকনাফ থানা নিয়ে গঠিত আসনে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন শাহজাহান চৌধুরী। পরে তাকেই দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে শাহজালাল চৌধুরীকে সরকার দলের হুইপ মনোনীত করেন তৎকালীন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার।

দীর্ঘ ৪৪ বছর পর কক্সবাজারবাসী আরও একজন হুইপ পেয়েছেন। তিনি হলেন সদর-রামু-ঈদগাঁও থানা নিয়ে গঠিত আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। দ্বাদশ সংসদে শেখ হাসিনান নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার তাকে সরকারি দলের হুইপ মনোনীত করায় সাড়ে ৪ দশক পর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো কক্সবাজার জেলাবাসীর।

স্বাধীনতার পর থেকে হুইপ পদটি কক্সবাজার জেলার মধ্যে রামু থানা তথা রামু সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের দখলে থেকে গেলেন। স্বাধীনতা পর কক্সবাজার জেলা থেকে হুইপ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন কারী মাত্র ২ জন। এরা হলেন শাহজাহান চৌধুরী ও সাইমুম সরওয়ার কমল। শাহজাহান চৌধুরীও ছিলেন রামু-উখিয়া-টেকনাফ আসনের সংসদ সদস্য। সাইমুম সরওয়ার কমলও হলেন সদর-রামু-ঈদগাঁহ আসনের সংসদ সদস্য। তারা ২ জনই ছিলেন রামু বাসীর ভোটের নির্বাচিত এমপি। ফলে ৪৪ বছর পরও হুইপ পদটি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছেন রামু বাসী।

গত ১০ জানুয়ারি সংসদ সদস্যদের শপথের দিন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল চিফ হুইপ পদে নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন), একাদশ সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বহাল থাকছেন। নতুন মুখ হিসেবে মাশরাফি বিন মূর্তাজা, নজরুল ইসলাম বাবু এবং সাইমুম সরওয়ার কমল মনোনীত হয়েছেন।

১৯৭২ সালের ‘দ্যা বাংলাদেশ (হুইপস) অর্ডার্’ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দেন। আইন অনুযায়ী সংসদে এক জন চিফ হুইপ ও ছয়জন হুইপ থাকবেন।

চিফ হুইপ পূর্ণমন্ত্রী মর্যাদার এবং হুইপরা প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পান।

উল্লেখ্য, সাইমুম সরওয়ার কমল কক্সবাজার-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার পিতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীও সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতায় ২.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি

বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরের রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং হোস্ট কমিউনিটির নারী ও যুবকদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে স্থিতিশীল ...

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ: বারবিকিউ পার্টি বন্ধ, রাতে সৈকতে ছিল না হইচই

কঠোর বিধিনিষেধ মেনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ করছেন পর্যটকেরা। পলিথিনের ব্যবহার, প্রবালসহ সামুদ্রিক প্রাণী সংগ্রহ, ...