একটা কথা প্রচলিত আছে, দিল্লির লাড্ডু-খেলেও পস্তায়, না খেলেও পস্তায়। অর্থাৎ বিয়ে করলে পস্তাতে হয়, না করলেও তা-ই হয়। তবে যে মহাজন এ প্রবচনটি চালু করেছিলেন, তিনি এর গূঢ়তত্ত্ব ফাঁস করেননি। আর গূঢ়তত্ত্ব ফাঁস না করাতেই এর পক্ষে-বিপক্ষে রয়েছে নানান যুক্তি।
তবে এটা ঠিক বিয়ের ক্ষেত্রেও রয়েছে কিছু হিসেব-নিকেশ। অনেকেই বলে থাকেন, শীত আর বিয়ের সঙ্গে মুধুর একটা সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। বুদ্ধিমানরা শীতেই বিয়ে করে! তাই যদি হয়, তাহলে শীতে বিয়ে করার কিছু সুবিধার বিষয় জেনে নেয়া যাক-
১. অতিরিক্ত বাজার থেকে মুক্তি : শীত এলেই অনেকের ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয়, আবার কারো বাতের সমস্যা থাকলে, তাও প্রকট হয়। অনেকের প্রেসারও আপ-ডাউন শুরু হয়। আর সে কারণে অনেকেই বেশি খেতে পারে না। আর বেশি খেতে না পারলেই বাজারের বাজেট কিছুটা বেঁচে যাবে।
২. মৌসুমী ফল কেনার ঝামেলা নেই : গরম কালের মতো শীতে আম, লিচুর ফলন খুব একটা নেই, তাই ফল কেনার ঝামেলাও নেই। একান্ত দরকার হলে ফল নয় বরং বাম্পার সবজি ফুলকপি নেয়া যায় শ্বশুরবাড়ি। এত বড় সাইজের ফুল পেয়ে কার না মন ভালো হয়? আর পছন্দ না হলেও সমস্যা নেই, রান্না করে খাওয়া তো যাবেই।
৩. কারেন্ট বিল বাঁচায় : শীতকালে ফ্যান চালাতে হয় না। আবার নতুন বউ ঘরে থাকলে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে বলে গুজব আছে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল এক্কেবারেই কম হবে।
৪. মশারি টানানোর ক্যাচাল নেই : ঘরের অনেক কাজ করলেও অনেকেই মশারি টানানো বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। অলসতা বা অন্য কোনো কারণই হোক না কেন শীতে মশারি টানানো নিয়ে আপনার কোনো টেনশন নেই। কারণ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর কোনো চান্স নেই।
৫. ভরপুর এনার্জি : দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল- কতো কাজই না করতে হয় বিয়েতে! ৪ থেকে ৫ দিনের ধকল। সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে এনার্জি খরচ হয় বিস্তর। তাই শীতই পারফেক্ট সময়। শীতে অনেক কাজ করলেও এনার্জিতে ঘাটতি দেখা যায় না।
৬. সাজগোজে স্বস্তি দেয় : এ দেশের যা আবহাওয়া, শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। একটু বেশি ঘামলেই গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতে যেমন খুশি তেমন সাজো। অনেকটা নো টেনশন ডো ফুর্তির মতো! তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে চুটিয়ে।
৭. কত ফুল, কত ডেকরেশন : শীতকালে কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজনও হয় না। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই - সব টাটকা টাটকা পাওয়া যায় প্রায় অর্ধেক দামে।
৮. হানিমুনের চার্ম : বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই, ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। একেবারে ষোলোকলা পূর্ণ এক হানিমুন!