নভেম্বরে শীত শুরুর পর দেশের লোডশেডিং কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সাময়িক। আশা করছি, নভেম্বরে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম আয়োজিত বাংলাদেশ ‘এনডিসি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
নসরুল হামিদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যাপক বিনিয়োগ। এ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোকে দায়িত্বশীল অবদান রাখতে হবে। বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সরকার সব সময় উৎসাহিত করে।
তিনি বলেন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দক্ষ ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নেট মিটারিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাণিজ্যিক মডেল দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সমাধান আনতে হবে। অন্য দেশের মডেল অনুসরণ করে সমাধান পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের নীতি নিয়েও কাজ করছে। পরিবহন বিদ্যুৎ-চালিত হলে কার্বন নিঃসরণ অনেক কমবে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ এবং মেরিন রিসোর্স নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ, ইমপ্রেস নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালক নাফিজ-উদ-দৌলা ও অক্সফাম বাংলাদেশের অনুষ্ঠান পরিচালক মাহমুদা সুলতানা।