লায়লা আরজুমন শিউলী
সে দিন গগনে, ছিল ঘন মেঘ
ঝড়ের পুর্বাভাস,
সাগরের বুকে ঢেউ উঠেছিল
দারুন জলোচ্ছাস।
তীরহারা হয়ে অবুঝ বালক
দিশেহারা হয়ে কাঁদে
ধরা পড়ে গেছে মাংসাসী সব
শিয়াল শকুনের ফাঁদে।
মায়ের আচঁলে মুখ লুকানোর
ছিল যে খোকার সাধ
আকাশ,বাতাস উঠেছিল কেঁপে
শুনে সে আর্তনাদ।
বোম বুলেটে সজ্জিত হলো
শত শত শম্বর,
রক্ত প্লাবনে প্লাবিত হলো সেই
বত্রিশ নম্বর।
নির্মম ভাবে একটি বুলেট
করে শিশুটিরে গ্রাস,
কত অনাদরে লুটিয়ে পড়েছে
শেখ রাসেলের লাশ।
সেদিন গগনে সুর্য উঠেনি
বাতাসেরা ছিল স্তব্দ
প্রকৃতির সব নিরবতা ভাঙ্গে
নিঠুর গুলির শব্দ।
রক্ত পিপাসু হায়নারা সেথা
করেছিল উল্লাস,
কত অনাদরে লুটিয়ে পড়েছে
শেখ রাসেলের লাশ।
মা,মা বলে সেই অবুঝ শিশুটি
কাদঁলো অনর্গল
বন্দুকেরই নল তাক করে
হাসলো ঘাতক দল।
মায়ের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার
পায়নি তো অবকাশ
কত অনাদরে, লুটিয়ে পড়েছে
শেখ রাসেলের লাশ।
লেখক
লায়লা আরজুমন শিউলী