গত ছয় মাস ধরেই গোটা বিশ্ব এক বড় হুমকির মুখে। এক অচেনা ভাইরাস মানুষের জীবন থেকে শুরু করে অর্থনীতি, রাজনীতি সব বন্ধ করে দিয়েছে। বিজ্ঞান বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তাকে থামাতে। বড় বড় দেশের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীদের মিশন আটকে দিয়েছে এই করোনা। বিজ্ঞানের এমন অসহায়ত্ব দেখে মানব জাতি এক নিরাশার অন্ধকারে যখন ডুবে যাচ্ছিল, তখনই বাংলাদেশি এক দল গবেষক আশার আলোকবর্তিকা হাতে এগিয়ে এলেন গোটা বিশ্বকে দিশা দেখাতে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশও পারে এমন এক অনুভূতির বার্তা ছড়াতে শুরু হয়ে গেছে স্যোশাল মিডিয়া জুড়ে। এখন কেবল বাকি একটি ধাপ। শেষ ধাপের অপেক্ষায় আছে সারা দেশ, গোটা বিশ্ব। সফলতা আসলেই গর্জে উঠবে প্রায় ৫৭ হাজার বর্গমাইলের এই বদ্বীপ। এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে থাকবে তখন।
বাংলাদেশের অন্যতম ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের কাজ শুরু করেছিল। এবার সেই সংস্থা দাবি করেছে, তারা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে বড় সাফল্যের সম্ভাবনার সামনে দাঁড়িয়ে। পশুদের উপর ট্রায়াল দিয়ে তারা একশো শতাংশ সফল হয়েছেন বলে দাবি ওই সংস্থার কর্মকর্তাদের। আর মাত্র একটি ধাপ বাকি। সেটি সফল হলেই বাংলাদেশ করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছে বলে দাবি করতে পারবে।
শেষ যে ধাপটি এখনও বাকি ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সেটিই আসল বলে মনে করা হয়। সেটি হল মানব শরীরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বিতীয় ধাপেও অ্যানিমেল মডেলে ট্রায়াল করা হবে। সংস্থাটির পক্ষ জানানো হয়েছে, ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চাইবে। অনুমতি পেলে তবেই সেটি শেষ ধাপের ট্রায়ালে যাবে। এর আগে সংস্থাটি দাবি করেছিল যে তারা পশুর শরীরে পরীক্ষা চালিয়ে একশো ভাগ সাফল্য পেয়েছে। তবে এটা প্রাথমিক ধাপ। গ্লোব বায়োটেকের কর্তারা আশা করছেন, মানুষের শরীরেও এই ভ্যাকসিন কাজ করবে।
গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ভাইরাস ডাটাবেজ অনুযায়ী ৩০ জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৫ হাজার ৭৪৩টি সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স জমা পড়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে জমা পড়েছে ৭৬টি। বাংলাদেশের এই সংস্থা দাবি করেছে, তাদের জমা দেওয়া জিনোম সিকোয়েন্স এনসিবিআই স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা দাবি করেছে, এই ভ্যাকসিন পশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।