ডাকসাইটে সুন্দরী। তবুও যেন নিজের সৌন্দর্যে সন্তুষ্ট ছিলেন না শ্রীদেবী। এজন্য ৫৪ বছরের জীবনে ২৯ বার সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি! পরিচালক অনুরাগ বসুর বাড়িতে সরস্বতী পুজোয় গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেদিনের ছবি দেখলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে লিপ সার্জারি করিয়েছিলেন।
ছবিতে দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, সার্জারির পর ফুলে গিয়েছে ঠোঁট। ঠোঁটের দুপাশে মুখের আদলেও পরিবর্তন এসেছে। বারবার সার্জারি, ফেস লিফটিং, এসবের কারণে কী নিজের শরীরের ওপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছিলেন অভিনেত্রী? মদ্যপানের সঙ্গে সেই ভারসাম্যহীনতাও কি অকালমৃত্যুতে অনুঘটকের কাজ করল?
এদিকে শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে দিন দিন রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। যত সময় যাচ্ছে তত বেরিয়ে আসনে নতুন নতুন তথ্য। এর আগেই দুর্ঘটনা নাকি হত্যা সেই প্রশ্ন যেমন রহস্য বাড়িয়ে তুলেছে। তেমনই শ্রীদেবীর মাথায় ক্ষতচিহ্নকে কেন্দ্র করে আবার নতুন সন্দেহ দানা বেধেছে। খবর কলকাতা২৪।
মঙ্গলবার আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে। শ্রীদেবী কোনোদিন মদ খেতেন না বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। একই মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অমর সিংও। শ্রীদেবীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও অমর সিং। তাদের দুজনেরই বক্তব্যে সন্দেহের তীর খুনের দিকেই।
এদিকে শ্রীদেবীর মাথায় ক্ষতচিহ্ন কোথা থেকে এল, তা নিয়ে তার ভক্তদের মাঝে প্রশ্ন উঠছে। অভিনেত্রীর মাথার পেছনে গভীর ক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু কীভাবে হলো এই ক্ষত? পড়ে গিয়ে নাকি এর পেছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য ঘটনা? এমনই হাজার হাজার প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কিন্তু পানিতে ডুবে মৃত্যুর কথাই লেখা হয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত শ্রীদেবীর পেটে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। প্রশ্ন এখানেই। এদিকে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হবে অভিনেত্রীর দেহ।