রেজাউল করিম চৌধুরী:
উদীয়মান এবং জনপ্রিয় পত্রিকাটির প্রথম পাতায় প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম দেখে বিস্মিত হতে হলো। সংবাদটির শিরোনাম, “এনজিওগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে না”। প্রতিবেদক বড় একটি এমন এনজিওর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, যেটি নিজের কথাই বলেছে শুধু, অন্যদের সম্পর্কে কিছুই বলেনি। তবে আমি এই সংকটে এনজিওগুলোর দুর্দান্ত ভূমিকার কথা জানি। আমি জানি, নিজস্ব তহবিল দিয়েই বেশ কিছু এনজিও মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের বেশিরভাগই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার উৎপাদন করে এবং বিনামূল্যে বিতরণও করে। তারা এখন বাইরে সরাসরি কাজ করার জন্য পিপিই খুঁজছেন। বেশিরভাগ এনজিও তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেছে। এনজিও পরিচালিত ১৬টি কমিউনিটি রেডিও দিনরাত প্রত্যন্ত অঞ্চলে সচেতনতামূলক নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। বেশিরভাগ এনজিও হাসপাতাল করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রায় সব এনজিও যেকোন প্রয়োজনে যথাসম্ভব সহযোগিতা প্রদানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনকে আশ্বস্ত করেছে। স্থানীয় উপজেলা, জেলা এবং বিভাগভিত্তিক এসব এনজিও জানে না কিভাবে বিজ্ঞাপন বানিয়ে নিজেদের কাজের বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হয়, তারা ভিডিও বানানো, টিভি টকশোতে কিভাবে কথা বলতে হবে তা হয়ত জানেন না, কিন্তু দয়া করে এদেরকে দুর্বল ভেবে অবজ্ঞা করবেন না, এই স্থানীয় এনজিওগুলিকে উৎসাহিত করুন। স্থানীয় এনজিওগুলি নেপথ্য নায়ক হিসেবে আমাদের সরকার এবং স্থানীয় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দারুণ এক সামাজিক শক্তি।
রেজাউল করিম চৌধুরী
নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট।