বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সংসারে চালাতে অনেকেই হিমশিম খান। আপনি যা উপার্জন করছেন, তার পাশাপাশি আপনার স্ত্রীও যদি কিছু উপার্জন করেন তাহলে সংসারে সচ্ছলতা বাড়বে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য ভালো সঞ্চয় করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, কর্মজীবী নারী বিয়ে করার রয়েছে আরও অনেক সুফল।
কর্মজীবী নারীদের বিয়ে করলে কী কী সুবিধা পেতে পারেন তা জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘বোল্ডস্কাই’।
১. সংসার খরচে অবদান
কর্মজীবী নারীদের বিয়ে করলে সংসারে মাস শেষে বাড়তি উপাজর্ন আসে। ফলে পরিবারে সচ্ছলতা আসবে।
২. বাস্তবধর্মী
অফিসে কাজ করার সুবাদে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হয়। ফলে নতুন অনেক অভিজ্ঞতাও অর্জন হয়। যা একজন নারীকে বাস্তববাদী করে তোলো। তাই কর্মজীবী নারীরা অন্য নারীদের তুলনায় কুসংস্কারমুক্ত হয় এবং অনেক বেশি বাস্তববাদী হয়।
৩. আপনার কাজের চাপ বুঝবে
অফিসে কাজের চাপ বেশি থাকলে অনেক সময় বাসায় এসেও তা করতে হয়। কর্মজীবী স্ত্রী ছাড়া এই সমস্যা কখনোই কেউ বুঝবে না। কর্মজীবী স্ত্রী আপনার কাজের চাপ বুঝবেন। শুধু তাই নয়, আপনাকে সাহায্য করার সক্ষমতাও থাকবে তার।
৪. ফ্যাশন সচেতন
কাজের প্রয়োজনেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। কর্মজীবি নারীরা পোশাক থেকে শুরু করে সব বিষয়ে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেন।
৫. শিশুদের জন্য শিক্ষা
একজন শিক্ষিত মা-ই বোঝেন শিক্ষার প্রকৃত মর্ম। তাই শিক্ষিত নারী বিয়ে করলে সন্তানের শিক্ষা নিয়ে চিন্তামুক্ত থাকবেন।
৬. ভালো পরামর্শদাতা
কর্মজীবী নারী অফিসের নানা জটিলতা সম্পর্কে জানেন। তাই আপনি কোনো সমস্যায় পড়লে আপনার স্ত্রী ভালো পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন।
৭. সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা
যেসব নারী অফিসে কাজ করেন তাদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। অনেক জটিল বিষয়ে নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। তাই কর্মজীবী নারীরা সাংসারিক বিষয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।
৮. একান্ত সময় পাবেন
আপনার স্ত্রী অফিসে কাজ করলে দীর্ঘ সময় বাইরে থাকবেন। ফলে নিজের জন্য একান্ত কিছু সময় পাবেন।
৯. সন্তানেরা আত্মনির্ভরশীল হয়
কর্মজীবী নারীরা অফিস চলার সময়ে সন্তানদের সব বিষয়ে নজর রাখতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে শিশুরা ছোটকাল থেকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পায়।