উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং গ্রামের সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (গ্রেড-১) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কন্স্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার ১০ম বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের একজন মেধাবী কর্মকর্তা।উখিয়ার রত্নাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের
সাবেক প্রধান শিক্ষক ফরিদ আহমদ ও মুন্নুজান আহমদের জ্যৈষ্ঠ সন্তান তিনি। ৪ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার সবার বড়।
তিনি উখিয়া উপজেলার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮০ সালে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে ১৯৮২ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ফ্রান্স থেকে কূটনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৯১ সালে কক্সবাজার জেলার প্রথম বিসিএস ফরেন সার্ভিস সদস্য হিসেবে। এরপর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ফ্রান্স, লন্ডন, ফিলিপাইন, কানাডা, ভারত এবং কাতারসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-২০১৫ সালে কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সাহিত্যকর্মেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত বইগুলো মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “আকণ্ঠ ডুবে আছি জলে,” “লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির গল্প,” এবং “চীন দেশের কল্পকথা।” সম্প্রতি প্রকাশিত "An Ambassador's Guide to Manners Etiquette" বইটি পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার চট্টগ্রামের জনপ্রিয় নেতা মরহুম আশরাফ খানের কন্যা তাহমিনা খানমের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। তাঁদের দুই সন্তান সাবাব মাহমুদ ও ইভান মাহমুদ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করছেন।