রাজশাহীর মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাসদস্য ও একজন ইমাম নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে উপজেলার সইপাড়া নামক স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও খড়বোঝাই নসিমনের সংঘর্ষে এই দুজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর সিনএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমন চালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- মো. পলাশ (২২) ও আব্দুল কুদ্দুস (৪০)। এর মধ্যে পলাশ সেনাবাহিনীর সৈনিক হিসেবে সাভার সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে।
আর আব্দুল কুদ্দুস মোহনপুর উপজেলার স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম। তিনি নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার উপর তালিমপুর গ্রামের মৃত তোতা হাজির ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহীর দিক থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা নওগাঁর উদ্দেশে যাচ্ছিল। রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের সইপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে সিএনজি চালিত অটোরিকশা আরেকটি মাহেন্দ্রা থ্রি-হুইলার গাড়িকে দ্রুত ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত খড়বোঝাই নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এতে সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন পলাশ ও আব্দুল কুদ্দুস। দুর্ঘটনায় তাদের দুজনেরই মাথায়, হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাদের মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা আরেকটি মাহেন্দ্রা থ্রি-হুইলার গাড়িকে দ্রুত ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ইঞ্জিনচালিত খড়বোঝাই নসিমনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ওই দুজন সড়কের ওপর ছিটকে পড়েন। তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও নসিমন চালককে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এই ঘটনায় থানায় মামলা হবে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত