যদি স্বার্থক বাবা-মা হতে চান, তাহলে বাচ্চাদের পেছনে টাকা ব্যয় করে নামী-দামি স্কুলে পড়ানোর পাশাপাশি তাদের পরিচর্যায় নিচের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগী হোন।
১. নিয়মিত মানসন্মত সময় দেওয়া,
২. সুন্দর আচরণ শিক্ষা দেওয়া,
৩. মানবিকতা, সহনশীলতা ও ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া এবং
৪. কষ্ট সহিষ্ণুতা শিক্ষা দেওয়া অনেক জরুরি।
আজকাল আমরা মধ্যবয়সীরা বা বৃদ্ধ অবস্থায় একাকিত্ব বোধ করি, কারণ আমরা আমাদের সন্তানদের সময় দেইনি। নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দিতে পারিনি।
মনে রাখবেন,
: যে সন্তান উপোষ করা, রোজা বা ক্ষুধার্ত থাকেনি, সে ক্ষুধার্ত থাকার কষ্ট বুঝবে কি করে?
: যে সন্তান হেঁটে কোনো দিন স্কুলে যায়নি, সে হাঁটার কষ্ট বুঝবে কি করে?
: যে নিয়মিত মাছ-গোস্ত খেয়ে বড় হয়েছে; সে ডাল, সবজি ও আলু ভর্তা খেয়ে বাঁচতে হয়—তা জানবে কি করে?
: যে সন্তান দাদা-দাদী বা নানা-নানীকে নিজ বাবা-মা কর্তৃক সেবা-যত্নের বিষয়টি দেখেনি, সে কি করে বড় হয়ে বাবা-মার যত্ন করতে শিখবে বা করবে?
আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি, ওরা সমাজের নামী-দামি কেউ হয়, কিন্তু সত্যিকারের ভালো মানুষ হবার শিক্ষাটা হয়তো অজান্তেই দিচ্ছি না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ
সাবেক পরিচালক,
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
পাঠকের মতামত