গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই নতুন বাংলাদেশের মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। বিগত ৫৩ বছর যারা বাংলাদেশকে শাসন করেছিলো তারা দেশ থেকে বৈষম্য দুর করতে পারেনি। ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। দুর্নিতি সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারেনি। মানুষের মৌলিক অধিকার পুরণ করতে পারেনি। মানুষের তৈরি আইন দিয়ে বৈষম্য দূর করা সম্ভব না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোরআনের আইন দিয়ে এই দেশকে শাসন করবে। আপনারা দেখেছেন পত্রিকায় এসেছে চাঁদাবাজের হাত বদল হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী যদি রাস্ট্র ক্ষমতার মালিক হয় তাহলে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবেনা।
উখিয়ার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রত্নাপালং ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড কর্তৃক আয়োজিত সহযোগী সম্মেলনে এসব কথা বলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রত্নাপালং ইউনিয়ন শাখার ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি মাওলানা হোছাইন আলীর সভাপতিত্বে শনিবার(২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় গয়ালমারা স্টেশন চত্বরে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী।
এসময় তিনি বলেন, হযরত মুসা যখন দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে এসেছিলো, তখন ফেরাউন প্রতিরোধ করতে চেয়েছিলো, কিন্তু সফল হয়নি। যুগে যুগে এদেশ থেকে ইসলাম নির্মুল করার জন্য বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ সফল হতে পারেনি। গত ৫ আগস্টের বিপ্লবের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই নতুন বাংলাদেশের মানুষ নতুন ভাবে ভাবতে শুরু করেছে। ইসলামের নামে রাজনীতি তারা নিষিদ্ধ করেছিলো। বিগত ৫৩ বছর যারা বাংলাদেশকে শাসন করেছিলো তারা দেশ থেকে বৈষম্য দুর করতে পারেনি, ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, দুর্নিতি সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারেনি, মানুষের মৌলিক অধিকার পুরণ করতে পারেনি। পলাতক আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসছিলো তখন তারা ১০টাকায় চালের কথা বলছিলো।
কিন্তু তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় চালের দাম ৭০ টাকা।
মানুষের তৈরি আইন দিয়ে বৈষম্য দুর করা সম্ভব না। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোরআনের আইন দিয়ে এই দেশকে শাসন করবে।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস যদি বন্ধ করতে চায়, তাহলে আল্লাহর আইন কায়েম করতে হবে। সন্ত্রাসমুক্ত শান্তির বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের বিকল্প নেই। অতীতে যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা জনগণের সম্পদ লুট করেছে, কিন্তু একজন মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা তারা করতে পারেনি।
ধনীদের সম্পদের ভিতরে গরীবের হক আছে। অতীতের সরকার ধনীদের সম্পদ থেকে গরীবের হক বের করতে পারেনি। তাই দেশ থেকে দারিদ্র্যতা দূর হয়নি। জামায়াতে ইসলামী এদেশের মানুষের কাছে ওয়াদা দিতে চায়, জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে ধনীদের কাছ থেকে গরীবের হক বের করে দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে।
আমরা একটিবার এই দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ইসলামি শাসন দেখতে চাই। আমরা সবাই ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হই। আমরা আল্লাহর কাছে ফেরত আসি, আল্লাহ কোরআনের কাছে ফেরত আস, তাহলে ইসলামী সমাজ বিনির্মান সম্ভব হবে। আপনারা দেখেছেন পত্রিকায় এসেছে চাঁদাবাজের হাত বদল হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী যদি রাস্ট্র ক্ষমতার মালিক হয় তাহলে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবেনা।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কক্সবাজার জেলার সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য। ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের শান্তি মিলবে। সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিকসহ একটি পুর্নাঙ্গ জীবন বিধান হলো ইসলাম। জামায়াতের কাজকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জামায়াতের নেতাদের হত্যা করেছে জালিম সরকার। কিন্তু ষড়যন্ত্র করেও তারা জামায়াতে ইসলামীর কার্যক্রম বন্ধ করতে পারেনি, পারবে না।
এছাড়া সবাইকে জামায়াতে ইসলামীর পতাকা তলে আসার আহবান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উখিয়া উপজেলার আমীর মাওলানা আবুল ফজল। এছাড়া উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড জামায়াতের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রত্নাপালং ইউনিয়ন শাখার ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মাওলানা হোছাইন আলী । সঞ্চালনা করেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রত্নাপালং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সেক্রেটারি রফিক আহমেদ