সন্ধ্যার পর নেমেছে রাতের আঁধার। চাঁদটা লুকিয়েছে মেঘের আড়ালে। ফুলের ঝোঁপে হঠাৎ এক দল সবুজ-সোনালি আলো দৌড়াদৌড়ি শুরু করল। একবার জ্বলছে, একবার নিভছে। এই চমৎকার আলোর বলটা মূলত জোনাকি পোকা। জোনাকি পোকার নাম শোনেনি এমন মানুষ কম, তবে দালানকোঠার এই শহরে জোনাকি পোকা খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। তবে আপনি যদি শুধুই মিটি মিটি আলোয় রঙিন করে তোলে চারপাশ দেখে মুগ্ধ হতে চান তাহলে যেতে পারেন পুরুষওয়াদি গ্রমে।
এটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। এখানে গেলেই দেখা মিলবে হাজার হাজার জোনাকি। মুম্বাই বা পুণে থেকে নাসিক যাওয়ার পথেই পাবেন আদিবাসী এ গ্রাম। মহারাষ্ট্রের আকোল জেলার দু’টি নদী, কুরকুন্ডি ও মুলার মাঝে রয়েছে সবুজে ঢাকা এই জোনাকি গ্রাম।
গ্রামটিতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় হচ্ছে জুন মাস। ভারতের বাণিজ্য নগরী মুম্বাই থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টা দূরত্বেই পাবেন এই স্বপ্নপুরী। আনন্দের খবর হচ্ছে- একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এখানে ইকো-ট্যুরিজিম গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। বসবাস, স্থানীয় খাবার, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ-সুবিধা দেবে সংস্থাটি।
শুধু তা-ই নয়, পুরুষওয়াদি গ্রামের জনপ্রিয়তা কিন্তু অন্য কারণে। সেখানে বর্ষার শুরু অর্থাৎ জুন মাস থেকে সন্ধ্যা হলেই জ্বলে ওঠে হাজার হাজার জোনাকি। এ সময়ে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির জোনাকি পাওয়া যায় সেখানে।