পৃথিবী জুড়ে মানুষের সংগ্রাম সফল হওয়ার। সফল হওয়ার জন্য মানুষের রাত-দিন তুমুল সংগ্রাম, কঠোর পরিশ্রম, দ্বন্দ্ব-হিংসা, স্বার্থের বিবাদ। কিন্তু কোথাও যেন পাওয়া যায় না সত্যিকার সফল নিখাদ। সফল হওয়ার শত শত কৌশল নিয়ে শত শত বই বেরিয়েছে। শত শত বই শত কোটি মানুষ পড়ছে। কিন্তু সত্যিকারের সফল মানুষ কি আমরা পাচ্ছি? কিংবা যাদের আমরা সফল বলছি তারা কি সত্যিকারের সফল ? মানুষ ও সৃষ্টির কল্যাণে তারা কি আনছে কোনো সুফল?
এখানে আমি কিছু প্রশ্ন রেখে যাব- বিশ^ মানবতার মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ), যীশু খ্রিস্ট, গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দ, কিংবা কনফুসিয়াস প্লেটো, নিউটন, এরিস্টটল, আইনস্টাইন, লুই পাস্তুর, গ্যালিলিও, জেমস ওয়াট, মাইকেল ফ্যারাডে, টমাস এডিসন কিংবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জর্জ ওয়াশিংটন, মার্টিন লুথার কিং, ল্যানসন মেন্ডেলা, কিংবা মাদার তেরেসা, হেনরী ডুনান্ট সহ এরকম শত শত প্রকৃত সফল মানুষগণ সফলতার জন্য কি কোন বিশেষ বই/বই সমূহ পড়েছেন? তারা কি লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ গড়ে গেছেন সফল খেতাব পেতে? তারা কেনইবা সফল? এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর আপনি নিজেই পাবেন আর বুঝবেন আসলেই সফলতা কি? আর তখন আপনার হা-হুতাশ, ফুটানি-ফাটানি, অহংকার-উলম্পন, হিংসা-বিদ্ধেষ, আক্ষেপ-আফসোস কিছুই থাকবেনা।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা, সমাজ ব্যবস্থা, পারিবারিক-সামাজিক ও পারিপাশির্^ক প্রত্যাশা এবং মূল্যবোধের দূষণে সৃষ্ট বিবেকের বধিরতা, অন্ধত্ব সর্বোপরি পক্ষগাতগ্রস্ততার কারণে আমরা সফলতার এক আশ্চর্য সংজ্ঞা দাড় করিয়েছি। আর ভোগবাদী বা পূজিবাদী মানদন্ডে সেই সফলতাকে বিচার করছি। সেই মানদন্ড আমাদের আবহমান বাংলার মূল্যবোধের মানদন্ডে যাচিত সফলতাকে বহুকাল আগে কবর দিয়েছে। আমরা সেই সব কথিত মানদন্ডে সফলতা/বিফলতা নির্ণয় করি, উৎসাহিত/হতাশ হই, পুরস্কৃত/তিরস্কৃত হই। ক্ষেত্র বিশেষে সফলতার এমন দেমাগ/অহংকারে পূর্ণ হই যে ধরাকে সরাজ্ঞান করি, নিজেকে ছাড়া কাউকে মানুষ ভাবিনা কিংবা বিফলতায় এমনই মুুষড়ে পড়ি যে আত্মহননের পথ বেছে নিই।
আমাদের বর্তমান সমাজ ভোগবাদী, সম্পদ আর ক্ষমতার পূজারী। কারণ অবাধ ইন্টারনেটে ভোগবাদীতার, সুখের, সম্পদের প্রচার প্রচারণা এবং আকাশ সংস্কৃতির কারণে সম্পদ গড়ার ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের অনুপ্রবেশ। এই সমাজ আমাদের মনে সফল লোকদের একটি চিত্র এঁকে দিয়েছে। সেই চিত্র ধরে আমরা এগিয়ে যাই। ইন্টারনেটে সার্চ দিলে লক্ষ লক্ষ লিখা, এ্যাপস, বই আর ওয়েব সাইট আসবে সফল হওয়ার রোডম্যাপ আর তরীকা বুঝাতে কিন্তু হলফ করে বলতে পারি তাবত বই ঝাড়া মুখস্ত করে, তাবত এ্যাপস ডাউনলোড করে মস্তিষ্কে আপলোড করেও আপনি সত্যিকারের সফল হবেন না। আপনাকে সফল হতে হলে জানতে হবে, অনুধাবন করতে হবে সফলতা জিনিসটা কি।
গোল্ডেন সভ্যতার শুরুতে এক মা তার সন্তানকে এইচএসসি তে ভালো জিপিএ না পাওয়ায় ঘর হতে বের হয়ে যেতে বলেছিলেন। সেই পরিস্থিতিতে ছেলেটি দুঃখ-কষ্টে পরিবারের মানুষের খোঁচাখুঁচিতে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সে তা করেনি। আজ সে সরকারি মেডিকেল হতে পাস করা ডাক্তার। সেদিন সে ছিল পরিবারের কাছে ব্যর্থ পরবর্তীতে মেডিকেল ভর্তির পর থেকে সে তার পরিবার ও সমাজের নিকট হয়েছে সফল ব্যক্তি। একদা তার মা কে আমি বলতে শুনেছি যে, “আসলে তিনি সে সময় ছেলের ফলাফল নিয়ে বেশি পরিমান চিন্তিত ছিলেন; ভেবেছিলেন তার ছেলে গোল্লায় গিয়েছেন”। ডাক্তার হওয়াতে ছেলে গোল্লায় যাননি বলে আমাদেরও ধারণা। আচ্ছা ধরুন তিনি ডাক্তার কিন্তু রোগী পাননা কিংবা ঘরে ঘরে গিয়ে বিনা “ফি” তে বা নামমাত্র “ফি” তে রোগী দেখেন। উল্লেখিত দুই ক্ষেত্রে তিনি বাড়ি/গাড়ী কিছুই করতে পারেননি তখন কি সেই ডাক্তারকে আমরা সফল বলি? নাকি আমার বলি, “কি ডাক্তারী পড়ল বাড়ী/গাড়ী কিছুই নাই, বটতলার ডাক্তার”। উদাহরণটা ডাক্তার দিয়ে দেওয়া হলেও সকল পেশার ক্ষেত্রে এটি সত্য।
জীবনের নানা পর্যায়ে সফলতার রুপ একেক রকম। ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া তারপর ভালো কলেজে/বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তারপর ভালো চাকুরী/ব্যবসা করা তারপর ভালো টাকা-পয়সা, বাড়ী-গাড়ী করা এটাইতো এখন সফল ব্যক্তির সংজ্ঞা । ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার, বড় চাকুরী/বিসিএস ক্যাডার/বড় ব্যবসায়ী হলে আমরা অবলীলায় তাকে সফল বলছি; আর এর বাইরে যারা এসব হননি তাদের বিফল বলি। প্রশ্ন হলো তাদের বিফল বলার অধিকার কে আমাদের দিয়েছে? আসলে আমাদের সমাজে সফল মানুষের ধারনাটা এরকম-
তিনি ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার/ব্যবসায়ী/বিসিএস ক্যাডার/বড় চাকুরীজিবী হবে,
তিনি প্যান্ট-শার্ট ইন করা চকচকে জুতা পরিহিত ব্যক্তি হবে,
ফ্ল্যাট, বাড়ি ও গাড়ি থাকবে এবং
অনেক লোকজন তাকে চিনবে ও ভয় পাবে (শ্রদ্ধা করতেও পারে নাও পারে)
এই বিচিত্রভাবে চিত্রিত চিত্র দেখে আতংকিত হবে। কিন্তু এটাই মানুষের মনে, আকাঙ্কার কোণে প্রবল প্রতাপে লুকায়িত সফলতার রূপ।
আমাদের এই সফল মানুষ হওয়ার সংজ্ঞা থেকে ভালো মানুষ হওয়াটা কেমন জানি ফিঁকে হয়ে আসছে। বস্তুত অর্জনই মুখ্য, অর্জনের পদ্ধতি একেবারে গৌণ। তাইতো দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা, বার্ষিক পরীক্ষা, বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। আর এসবের ক্রেতা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকও। সমাজ মূল্যায়ন করছে চোরাকারবারী/ ঘুষখোর/ চাঁদাবাজ/ কালোবাজারী/ মুনাফাখোর/ সম্পদবাজদের। সৎ কিন্তু দরিদ্র লোকের মূল্যায়ন তাই নেই। এই যে অসুস্থতা, অসুস্থ সফলতা আর তা অর্জনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এটি মানুষকে বীকারগ্রস্থ করে তুলেছে। তাইতো, বোর্ড পরীক্ষায় ফেল করে আত্মহননের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে সম্পদের লড়াইয়ে খুনের ঘটনাও। একটু চোখ বন্ধ করে ভাবুন তো আমরা/আমি/আপনি কি কখনো বলিনি- অমুক ফ্ল্যাট কিনলো; তুমি কি করলা? অমুক ঐ চাকুরী করে; তুমি কি করলা? অমুক বুয়েটে/ডাক্তারী/আইবিএ/বিসিএসে চান্স পেয়েছে; তুমি কি করলা? আমাদের এই চাওয়াটা বস্তুগত/সম্পদগত অর্জনে, গুণগত অর্জনে নয়। আমাদের তুলনা বস্তুগত অর্জনের সাথে, মেধা ও গুণভিত্তিক অর্জনের সাথে নয়। এই যে সফলতার তুলনা তা সত্যিকারের সফল মানুষ তৈরী করেনা। এই তুলনা ক্ষেত্র বিশেষে বিপথে কথাকথিত সম্পদ অর্জনে সফল করে। তাহলে সফলতা কি? কিভাবে সফল হওয়া যাবে?
সফলতার প্রথম সূত্র “তুলনা না করা”। কখনোই অন্যের ধন-সম্পদ, পেশা ও পড়ালিখার সাথে তুলনা করবেনা। নিজের সন্তানদের ক্ষেত্রেও এরকম করবেন না। যেটি করবেন বা করছেন সেটি সঠিকভাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে করুন। কে কোথায় পড়ে, কি করে, কি করেছে তা চিন্তা না করে আপনার কাজ আপনি করুন। তুলনা করা শুধু শিক্ষা বা কর্মজীবনেই নয়, পারিবারিক জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। একটা ছোট, পুরাতন কিন্তু অর্থবহ উদাহরণ দিই- প্রায়ই স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের বলে, “ওমুক তোমার মত একই চাকুরী করে গাড়ী কিনেছে, বউকে গহনা দিয়েছে, তুমি এই জীবনে আমাকে কিছুই দিলেনা”। এইখানেই স্ত্রী তার স্বামীর মনে ব্যর্থতার বেদনা উসকিয়ে দেন। আফসোস্ এখানে যে এতোদিন যে নির্ভেজাল ভালোবাসা স্বামী স্ত্রীকে দিয়েছেন তা ঐ গহনা/গাড়ী না দেওয়ার কারণে “কিছুই দিলে না হয়ে গেল”। নিখাদ ভালবাসার চাইতে সম্পদটাই মুখ্য হয়ে গেল। একই কথা স্বামীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
একইভাবে সন্তানদের আমরা বলি, “ওমুক তো ঐ স্কুল/কলেজে চান্স পেল। তুই তো পেলিনা। তোদের জন্য আমি কি করিনি। এখন কিভাবে মুখ দেখাবো”? আরে, ঐ স্কুল/কলেজ ছাড়া কি কোনো স্কুল/কলেজ দেশে নাই? বা ঐ স্কুল থেকেই কি দেশের সব ভালো মানুষ/সফল মানুষ তৈরী হয়? আমার সহজ কথা স্কুল, কলেজের চাইতে সে প্রকৃতই কি শিখছে তার উপর গুরুত্ব দিন। কার ছেলে/মেয়ে কি পড়ছে, কই পড়ছে তার সাথে তুলনা করা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন দুইজন মানুষের সফলতার রাস্তা কিন্তু এক না। এই তুলনা করা বন্ধ করতে পারলেই আপনি সফলতার রাস্তায় পৌঁছে যাবেন। মনে রাখবেন “তুলনা করা” মানুষকে প্রায়ই বিপথে ঠেলে দেয়।
দ্বিতীয় যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হল- সফলতাকে কেবলমাত্র বস্তুগত অর্জন দ্বারা পরিমাপ না করা। বড় চাকুরী/ব্যবসা, গচ্ছিত সম্পদ, বাড়ি-গাড়ী দ্বারা সফলতাকে যাচাই করাটা সবচেয়ে বড় ভুল। অর্জনটাকে প্রাধান্য দেওয়ার চাইতে অর্জনের পদ্ধতিকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই কথা শিক্ষার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। নকল করে গোল্ডেন জিপিএ পেলে লাভ কি? ভেতরটা তো “গোল্ডেন উঁপশ” ই থাকবে। ছাত্র-ছাত্রীদের বলি ফলাফল ওরিয়েন্টেড না হয়ে, জ্ঞান ওরিয়েন্টেড হতে হবে। মনে রাখতে হবে, এচঅ রং হড়ঃযরহম নঁঃ ধ ফরমরঃ, নঁঃ শহড়ষিবফমব রং বঃবৎহরঃু”। রেজাল্ট সাময়িক আনন্দ বা সাফল্যের অস্থায়ী সুখ দিতে পারে। কিন্তু জ্ঞান সীমাহীন আনন্দ ও স্থায়ী সাফল্য দিবে। আর এই কথাটা যদি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা কিংবা অভিভাকরা উপলদ্ধি করে শপথ করে বলতে পারব রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কারণে কোনোদিন কেউ আত্মহত্যা করবেনা। সার্টিফিকেটধারী হওয়ার চাইতে সৎ গুণের অধিকারী হওয়াটাই মুখ্য।
ঘুষ খাওয়া বড় সরকারী চাকুরীজীবি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ঔষুধ কোম্পানীর নিকট হতে কমিশন খাওয়া বেরহম ডাক্তার, আদর্শ বিবর্জিত ধান্দাবাজ নামী শিক্ষক, শ্রমিকের বেতন আর ব্যাংক ঋনের টাকা মারা ব্যবসায়ীদের কিংবা লোকচক্ষুর আড়ালে অবৈধ কারবার করে রাতারাতি ধনী হওয়া ছদ্ধবেশীদের আল্লাহ ওয়াস্তে সফল মানুষ বলবেন না। ওদরে বলবেন “চোর”। রাস্তাঘাটে দেখলেই দুর থেকে দেখাবেন “ঐ যে সফল চোর”।
তৃতীয় বিষয়টি হলো সফলতাকে কোনো অবস্থাতেই কোনো বিশেষ মুহূর্তেও অর্জন দ্বারা যাচাই না করা। মনে করুন আপনার সন্তান অমুক স্কুল/কলেজ/বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি; তাই বলে সে কি বিফল? কিংবা আপনি কাঙ্খিত চাকুরী পাননি তাই বলে কি আপনি বিফল? আর এসব পেলেই কি আপনি সফল? মনে করুন আপনি ভালো স্কুল কলেজে পড়ে ভালো চাকুরী/ব্যবসা করে সম্পদ গড়েছেন। কিন্তু আপনার দ্বারা মানুষের এক বিন্দু কল্যাণও হয়নি। তাহলে এই অর্জনের কি কোন মূল্য আছে? কেন আপনি ভাবছেন “এটা” হতে পারেননি বলে আপনি বিফল। হাজারটা “ওটা” আছে। যেখানে হয়তো আছে আপনার সাফল্যের বীরত্বগাঁতা।
চতুর্থত যা-ই করবেন সৎভাবে, নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের সাথে বৈধ পথে করবেন। এতে যা-ই ফলাফল, সেটাই সাফল্য। সৎ পথে সৎভাবে কাজ করে যে ফল তা-ই সফল। নকল করে/প্রশ্নপত্র পেয়ে পরীক্ষায় গোল্ডেন পাওয়া শিক্ষার্থী সাময়িকভাবে বাহবা পেতে পারে কিন্তু জীবন চলার পথে সে ধরা খাবেই। আর তার আত্মতুষ্টিও থাকবে না। নিজের কাজে সে আজীবন সফল নয়, চোরই থাকবে। এটা শুধু শিক্ষা জীবনে নয়, কর্মজীবন, পারিবারিক জীবনেও সত্য। আপনি নিজেতো জানেন আপনি কি। কারো চাকচিক্য, বাহারী জীবনযাপন দেখে নিজেকে বা নিজের সৎ অর্জনকে তুচ্ছ ভাববেন না।
পরিশেষে উপরোক্ত সূত্রানুযায়ী আপনি ৫০ ভাগ সফল হয়ে গেছেন আর ৫০ ভাগ শুধু একটি কাজ করলে সমাপ্ত হয়ে যাবে। সেটি হল যা কিছু আপনার অর্জন তা সকলের সাথে কিঞ্চিৎ হলেও ভাগ করে নেওয়া বা আপনার অর্জন মানব ও সৃষ্টির কল্যাণে ব্যবহার করা। লেখার শুরুতে যে প্রশ্ন করেছিলাম তার উত্তর নিশ্চয়ই পেয়ে গেছেন। তারা বিখ্যাত হয়েছেন শুধু মানুষ আর সৃষ্টির কল্যাণে আমৃত্য সংগ্রাম করে, টাকা-পয়সা জমিয়ে নয়। পলান সরকার কিংবা ময়মনসিংহের রিক্সাচালক ষার্টোধ জয়নাল আবেদীন এর কথা জানেন? নাহ্ আমি বলবোনা। আপনারাই খুঁজে নিন। সফল তো সেই ব্যক্তি মৃত্যুর পর যার শূণ্যতায় মানুষের মন কেদে উঠবে। চোখের কোণে নোনা জমে অজান্তে বলে উঠবে “আহ্, লোকটা বড় ভালো ছিল”। এটাই সাফল্য।
সত্যিকারের সফল মানুষরা সুখী। সকল সুখী মানুষরাই সফল। সুখের জন্য খুব বেশী কিছু দরকার নেই। প্রয়োজন একটি পরোপকারী, নির্লোভ নিস্বার্থ সৎ জীবন।
লেখক-মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম,
সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার,
বাংলাদেশ পুলিশ।