জাহেদ হাসান :
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরালো ও পর্যটকদের আকর্ষিত করতে বীচে নামানো হল দুটি ময়ূর আকৃতির বীচ বাইক ও দুটি ঘোড়ার গাড়ি। এগুলোর নাম দেয়া হয়েছে পঙ্খিরাজ ও রাজ ময়ূরী।
সোমবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এর নেতৃত্বে শুভ উদ্বোধন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক ও অতিরিক্ত ডিআইজি বিধান ত্রিপুরা।
ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়,দেশের বিভিন্ন স্হান থেকে লাখ লাখ পর্যটক কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণে আসেন।আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতে ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার আরও সহজতর ও পর্যটকদের আকর্ষিত করতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এসময় পর্যটক ও দর্শনার্থীরা বলেন,ট্যুরিস্ট পুলিশের এই উদ্যোগ পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় মুখ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।পাশাপাশি সৈকতে পর্যটকদের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ হল।
ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক বলেন,সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কার্যক্রম। বীচে ছিনতাইকারীদের হাতে কোন পর্যটক ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানির শিকার হলে, ট্যুরিস্ট পুলিশ এই বীচ বাইক নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেবা দিতে পারে।অন্যদিকে পর্যটকদের আনন্দ আরও বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন জোনকে নিরাপদ রাখতে ট্যুরিস্ট পুলিশ বদ্ধপরিকর। এখানে কাউকে অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়তে দেয়া হবে না।পর্যটক ও নিরাপদ পর্যটন জোন গড়ে তুলতে সকল প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয়া হবে।এখানে কেউ যদি অপরাধ কর্মকাণ্ড করার চেষ্টা করবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এ সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন সময় পর্যটক হয়রানি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়।এসব অপরাধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ট্যুরিস্ট পুলিশের এই উদ্যোগ। ট্যুরিস্ট পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের ডিআইজি আবুল কালাম সিদ্দিক এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।এরি প্রেক্ষিতে আজ সৈকতে দুটি ময়ূর আকৃতির বীচ বাইক ও দুটি ঘোড়ার গাড়ি নামানো হল।কক্সবাজার বাসীকে
নিরাপদ পর্যটন জোন উপহার দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ পর্যটন জোনে কোন প্রকার অপরাধ বরদাস্ত করবে না।সকল প্রকার অপরাধ বন্ধ করে একটি নিরাপদ পর্যটন জোন গড়ে তুলা হবে।