ডেস্ক প্রতিবেদন::
একগামী প্রজাতির সঙ্গীদের সাদৃশ্য থাকার বিষয়টি পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান। সঙ্গীর আচরণের সঙ্গে মিলে গেলে তাদের প্রজননগত সাফল্যের হার বেড়ে যায়। মানুষের ক্ষেত্রেও সঙ্গীর মিল থাকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে ভাবা হচ্ছিল। অনেক দিন ধরেই মনোবিদেরা বিষয়টির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন। এত দিন এ তত্ত্বের পক্ষে কোনো গবেষণায় তা প্রমাণ করা যায়নি।
বিবিস জানায়, সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মেনন ভ্যান শ্যাপিগান এক গবেষণায় বলছেন সঙ্গীর মধ্যে সাদৃশ্য থাকার বিষয়টি প্রকৃতপক্ষে প্রভাব ফেলে না; বিশেষ করে কোনো বিষয়ে একমত হওয়ার মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে।
তবে অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যক্তিত্বের বাইরেও অন্যান্য বিষয়ে সঙ্গীর সঙ্গে সাদৃশ্য থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সকালে ঘুম থেকে ওঠা বা রাজনৈতিক আচরণের মতো বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থাকার চেয়ে দুজনের মধ্যে ভাগাভাগির সত্তার একটি অনুভূতি তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।
এ গবেষণায় গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন মেনন ভ্যান শ্যাপিগান। তাঁর ভাষ্য, আগের গবেষণাগুলোয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাদৃশ্যের প্রভাব বুঝতে তেমন কোনো পদ্ধতিতে গবেষণা করা হয়নি। তবে তাঁরা কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য সম্পর্কে সুখী থাকা ব্যক্তিদের ব্যক্তিত্বের ধরন, শারীরিক সুস্থতা ও সম্পর্কের সন্তুষ্টিবিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, কোনো ব্যক্তি তখনই সুখী থাকেন, যখন তিনি বা তাঁর সঙ্গী একমত থাকেন, আরও সচেতন ও কম খ্যাপাটে মানুষ হন। তবে অনেক ক্ষেত্রে সব ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্য থাকলে তা উপকারী হয় না। যেমন: দুজনের মধ্যেই যদি বহির্মুখীনতা থাকে, তবে তা পরিপূর্ণ সুখী হওয়ার পথে বাধা। তবে ভ্যান শ্যাপিগান ও তাঁর গবেষক দল ধারণা করছে, কোনো বিষয়ে মন খুলে কথা বলার ক্ষেত্রে সাদৃশ্য থাকলে তা বরং উপকারী। খোলামেলা ও স্বাধীনভাবে মন খুলে কথা বলার মতো ক্ষেত্রে সঙ্গী যদি একই রকম গুরুত্ব দেখান, তবে নারী ও পুরুষ উভয়েই সুখী হন।