আসিফুজ্জামান পৃথিল : গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঘোষণা দিয়েছে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হতে যাচ্ছে। সোয়া ১ বছর থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো স্বাভাবিকভাবেই অতি গুরুত্বের সঙ্গেই প্রকাশ করেছে এ সংবাদ। রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরার বিষয়ে কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ পেলেও নানান শঙ্কার কথা নিজেদের লেখায় তুলে ধরেছে গণমাধ্যমগুলো। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও জাতিসংঘের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য রাখাইন এখনও পর্যন্ত নিরাপদ নয়।
যুক্তরাজ্যের প্রখ্যাত সাময়িকি দ্য গার্ডিয়ান নিজেদের শিরোনামে লিখেছে, ‘জাতিসংঘের গণহত্যার হুশিয়ারি স্বত্তেও রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসিত করা হবে।’ ভেতরে তারা লিখেছে, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ আগামি মাসে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক সপ্তাহের কম সময় পূর্বে জাতিসংঘ জানিয়েছিলো এই সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা এখনও চলমান রয়েছে। তারা আরও লিখেছে, এই প্রথমবারের মতো প্রত্যাবাসনের তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে এর তারিখ নির্ধারণ হলেও নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে তা সম্ভব হয় নি।
আরেক সাময়িকি টাইমস শিরোনাম করেছে, ‘মিয়ানমার এবং বাংলাদেশ বলেছে শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন।’ ভেতরে তারা লিখেছে, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার মধ্য নভেম্বরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে যে দেশের সেনাবাহিনীর বিভৎস তা-বে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পাশর্^বর্তী দেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় সে দেশে যে কারোরই নিরাপদে ফেরার বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। খবর : আমাদের নতুন সময়
যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিজেদের শিরোনামে লিখেছে, ‘মিয়ানমারের কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরা এবং পরিচয়পত্র গ্রহণে বোঝাচ্ছেন।’ ভেতরে তারা লিখেছে, মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বুধবার বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছেন। তারা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে আসার জন্য নানান প্রলোভন দিচ্ছেন।