বিরোধীদের আনা অনাস্থা ভোটে হেরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ হারিয়েছেন ইমরান খান। বাংলাদেশ সময় শনিবার দিনগত রাতে শুরু হওয়া এই ভোটে ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন এমএনএ। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩৪৩ জন এমএনএ-র মধ্যে ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন হয়। বিরোধীরা দাবি করে আসছিল তাদের পক্ষে ১৭৬ জন এমএনএ-র সমর্থন হয়েছে। তবে ভোট দিয়েছেন ১৭৪ জন। সবগুলো ভোট গেছে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। ইমরানের ক্ষমতাসীন দল পিটিআই দলের আইনপ্রণেতারা অনাস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।
ভোটগ্রহণ শুরুর পরপরই প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ছেড়ে বেড়িয়ে যান ইমরান খান। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের দাবি, পার্লামেন্টে ভোটগ্রহণ শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ইসলামাবাদের বনি গালায় নিজের বাড়িতে যান ইমরান খান। একই সময়ে টুইটারে এক পোস্টে ইমরান খান সরকারের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী লেখেন, ‘পাকিস্তানের জন্য বিষাদের দিন। লুটেরারা ফিরে এসেছে। ঘরে ফিরলেন একজন ভালো মানুষ।
এক টুইটবার্তায় পাকিস্তানের সিনেট সদস্য ফয়সাল জাভেদ খান লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বিদায় জানিয়েছেন। তিনি মাথা উচু করেই বেড়িয়েছেন। তার মাথা নত করেননি। তার পিছনে পুরো জাতি রয়েছে। নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে এরকম একজন নেতা পেয়েছি বলে। পাকিস্তান খান। ইমরান খান।
সরকারি বাসভবন ছাড়ার আগে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘একটি কলুষিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একা লড়াই করছি। হয়তো জেলে যাব, কিন্তু লড়াই চালিয়ে যাব।’
এর আগে মধ্যরাত থেকে জমে ওঠে পাকিস্তানের পলিটিক্যাল থ্রিলার। প্রায়শ রাতের আঁধারে ক্ষমতার পালাবদলের জন্য পরিচিত দেশটিতে শনিবার রাত ১২টা থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে সুপ্রিম কোর্ট ও ইসরামাবাদ হাইকোর্ট। যানবাহনের আনাগোনা বাড়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের রাসভবন, সেনাসদর ও পার্লামেন্ট চত্বরে। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল রাত ১২টায় তার এজলাস খুলতে সুপ্রিম কোর্টের কর্মীদের নির্দেশ দেন। একই সময়ে আদালত প্রাঙ্গনে পৌঁছান ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ