আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন নবীদের মধ্যে আমার উম্মতের সংখ্যা হবে সর্বাধিক এবং আমি প্রথম জান্নাতের দরজা খুলব। মুসলিম, হাদিস : ১৯৬।, অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি জান্নাতের দরজায় পৌঁছে, দরজা খোলার জন্য বলব। তখন দাররক্ষী বলবে, আপনি কে? আমি বলব মুহাম্মদ। তখন সে বলবে যে আপনার সম্পর্কে আমাকে পূর্বে বলা হয়েছে যেন আপনার আগে আমি অন্য কারো জন্য এ দরজা না খুলি।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৯৭)
জান্নাতের আটটি দরজা থাকবে। সেগুলো হলো-
১. বাবুস আস-সালাহ (নামাজের দরজা), যারা আন্তরিকভাবে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন, তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নাম করা হয়েছে বাবুস সালাহ বা নামাজের দার।
২. বাবুল জিহাদ (জিহাদের দরজা) যারা একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ তা’লার পথে তার জীবন ও সম্পদ দিয়ে জিহাদ করবে তাদের সম্মানে জান্নাতের এই দরজার নামকরণ হয়েছে বাবুল জিহাদ বা জিহাদের দার।
৩. বাবুর-রাইয়ান, যে সকল মুমিন বান্দা বান্দা আল্লাহ তাআলার রোজা রাখে আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য এই দরজার ব্যবস্থা করেছেন।
৪. বাবুস-সদকা, যারা দান সদকা করেন আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এই দরজার ব্যবস্থা করেছেন।
৫. বাবুল আইমান, কেউ কেউ এই দরজাকে বাবুস শাফাআতও বলেছে। কঠিন কিয়ামতের ময়দানে যাহারা নবীজির শাফায়াত পাবেন তাদের জন্য এই দরজা, মুসলিম, হাদিস : ৩৬৮
৬. বাবুল কাজিমিনাল গইজা ওয়াল আফিনা আনিন্নাস, যারা কোনদিন সময় মানে রাগ এর সময় রাগকে নিয়ন্ত্রন করেন এবং মানুষকে ক্ষমা করে দেন আল্লাহ তা’আলা তাদের সম্মানে এই দরজার ব্যবস্থা করেছেন (উমদাতুল কারি : ১৬/২৫৪)
৭. বাবুর-রাদ্বিন (সন্তুষ্টদের দরজা), এই দরজাকে কেউ কেউ বাবুল জিকির, বাবুল হজ, বাবুল ইলম ও বাবু লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহও বলা হয়। যারা আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট এবং আল্লাহও যাদের ওপর সন্তুষ্ট, তাদের সম্মানে এ দরজার নামকরণ হয়েছে, যেমন আল্লাহ তাআলা সাহাবীদের সম্পর্কে বলেছিলেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮১)
৮. বাবুত তাওবা (ক্ষমা প্রার্থনার দরজা), যারা নিজেদের পাপ মোচনের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার দরবারে সর্বদা ক্ষমা প্রার্থনা করেন তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা এই দরজার ব্যবস্থা করেছেন (জামিউস সগির, হাদিস : ৭৩২০)
পাঠকের মতামত