ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় বিয়ের দাবিতে সহপাঠী প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে অনার্স পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী। তবে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে সহপাঠী প্রেমিক শাকিল হাওলাদার।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানাধীন চরমানিকা ইউনিয়ন চরকচ্ছপিয়া গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ উঠেছে অনশন করার সময় মেয়েটিকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে পালিয়ে যায় সহপাঠী প্রেমিক শাকিল হাওলাদার।
অনশনকারী কলেজ ছাত্রী জানান, তার সাথে একই ক্লাসের সহপাঠী চরকচ্ছপিয়া গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মো.শাকিলের সঙ্গে দীর্ঘ দেড় বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। প্রেমের একপর্যায়ে সে মাঝে মধ্যে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতো। বেশ কয়েকবার তাদের বাড়িতেও যায়। সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে সহপাঠী প্রেমিক শাকিল হাওলাদার তার বাড়িতে দেখা করতে বললে কলেজ ছাত্রী তাদের বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে তার বাবার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তাকে দেখতে পায়। পরে শাকিলের সাথে কথাবার্তার এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে সে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর সহপাঠী প্রেমিক শাকিলকে না পেয়ে তাদের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করে।
কলেজ ছাত্রী আরো জানান, তার সহজ সরলতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সহপাঠী শাকিল হাওলাদার সব শেষ করে দিয়েছে। বাড়িতে ডেকে এনে সে এখন তার পুরো পরিবার নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পাঁয়তারাও করা হচ্ছে। সহপাঠী শাকিল হাওলাদার যদি তাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
এ ঘটনার পর থেকেই বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
অনশনকারী কলেজছাত্রীর নানা বলেন, আমার নাতিনকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয় ছেলের পারিবারের লোকজন। আমার নাতিনের নিরাপত্তা নিয়েও আমরা এখন শঙ্কিত।
কলেজছাত্রী অনশন করার পর থেকে সহপাঠী শাকিল হাওলাদার সহ তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।
স্থানীয় চরমানিকা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, বিষয়টি শুনে উভয় পক্ষকেই নিয়েই মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
দক্ষিণ আইচা থানার ওসি শাখাওয়াত হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই ছাত্রীকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।