উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
সাংবাদিক আশিক মোহাম্মদকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ প্রমাণ হলে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাহিনীটির প্রধান এ কে এম শহীদুল হক। রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শনিবার সকালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইন্সটিটিউট অব যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ‘মাদকের ভয়াবহতা নিরসনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে যোগ দিয়েছিলেন আইজিপি। আলোচনা শেষে সাংবাদিকরা তার কাছে অন্যান্য বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি ঈদের পর দিন শেষে রাতে ডেইলি অবজারভারের ফটো সাংবাদিককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়ে জানতে চান।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব পুলক ঘটক অভিযোগ করেছেন, গত ২৭ জুন রাতে কয়েকজন টহল পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে আশিক মোহাম্মদকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার পকেটে ১০টি ইয়াবা দিয়ে মাদকের মামলা দেয়া হয়।
পুলক তার ফেসবুক পেজে এই বিষয়টি নিয়ে লেখেন, ‘গত ২৭ জুন (ঈদের পরদিন) রাত ১২টার পর টহল পুলিশের একটি দল শান্তিনগর কাঁচাবাজারের কাছে আশিকের মোটরসাইকেল থামায়। সেখানে তার সঙ্গে পুলিশের কথাবার্তা এবং তর্কবিতর্ক হয়। পুলিশ তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং মারধর করে ভ্যানে তোলে। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানোর পর রাত দুইটার দিকে তাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে আরেক দফা মারধর করলে তার নাকমুখ দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। এরপর তাকে বলা হয় যে এক লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। নইলে মাদকের মামলার আসামি হিসেবে কোর্টে চালান দেওয়া হবে। আশিক বলে যে সে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে পারবে। এর বেশি দেওয়ার সামর্থ্য তার নেই। পরদিন আশিকের পকেটে ইয়াবা পাওয়া গেছে এই অভিযোগ তুলে তাকে আদালতে চালান করে পুলিশ।’
এই ঘটনায় শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ও সমাবেশে করেন সাংবাদিকরা।
এই কর্মসূচি চলাকালে আইজিপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি। সাংবাদিককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর বিষয়টি নিয়ে তার কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য যদি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’