কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস। সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে বের হন।
এর আগে দুপুরে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় জামিন পান তিনি।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন জামিন চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর একটি ফটোকার্ডে একজন দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়। কিন্তু সেই উদ্ধৃতির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় একটি শিশুর ছবি। দিনমজুরের উদ্ধৃতির সঙ্গে শিশুর ছবি প্রকাশের অসংগতির বিষয়টি তুলে ধরে ১৭ মিনিটের মধ্যেই ফটোকার্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে প্রত্যাহার করে সংশোধনী দেয় প্রথম আলো।
এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ আইনজীবী আবদুল মশিউর মালেক বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
ওই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান এবং অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। গতকাল রোববার মামলাটিতে মতিউর রহমান হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
মামলাটি দায়েরের প্রায় ২০ ঘণ্টা আগে সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিচয় দিয়ে তুলে আনা হয়। গত বৃহস্পতিবার সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।