একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় কক্সবাজারের ৬ টি মামলা হয়েছে। এই ৬ টি মামলায় ৪৬৬ জনের নাম উল্লেখ সহ ১১ হাজার ৯ শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে ৫ টি এবং চকরিয়ায় নিহত মোহাম্মদ ফোরকানের স্ত্রী বাদি হয়ে একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে পুলিশের ৫ টি মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইন ও সরকারি কাছে বাঁধা প্রদানের দায়ে। নিহতের স্ত্রীর মামলাটি হত্যা মামলা।
বুধবার রাত ৮ টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সামনের ইলিয়াস মিয়া স্কুল সংক্রান্ত পুলিশের সাথে জামায়াত সমর্থকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জানাজা শেষে ঘরে ফিরে যেতে বললে এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের উপর হামলা, ভাংচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ২২ শত জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পুলিশ মামলাটি দায়ের করেন।
এই মামলার বাদি ও আসামির নাম প্রকাশ করতে রাজী নন তিনি।
তবে কক্সবাজার সদর থানার একটি সূত্র জানায়, কক্সবাজার সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ নেওয়াজ বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক ৩ টি মামলা হয়েছে। এতে ২ টি মামলার বাদি পুলিশ। অপর মামলাটির বাদি নিহত ফোরকানের স্ত্রী নুরুচ্ছফা। পুলিশ বাদি হয়ে দায়ের করা মামলা ২ টিতে ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আড়াই হাজার করে মোট ৫ হাজার জনকে। নিহতের স্ত্রীর মামলায় কারও নাম উল্লেখ নেই। আড়াই হাজার জন অজ্ঞাত আসামি।
এক্ষেত্রে এসপি পুলিশের মামলার বাদি নাম প্রকাশ করেননি। তবে চকরিয়ার থানার সূত্র বলছে, এই ২ টি মামলার বাদি উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আল ফোরকান।
এসপি জানিয়েছেন, পেকুয়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ২ টি মামলা করেছেন। যেখানে ১৫১ জনের নাম উল্লেখ করে ১ হাজার ১০০ জন করে মোট ২ হাজার ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ওমর হায়দার জানিয়েছেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুফিজুল ইসলাম বাদি হয়ে এই ২ টি মামলা দায়ের করেন।
পেকুয়া থানার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পেকুয়ায় দায়ের হওয়া মামলা ২ টি প্রধান আসামি করা হয়েছে পেকুয়া সদর জামায়াতের আমির ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু।
উল্লেখদের মধ্যে বারবাকিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাওলানা বদিউল আলম জিহাদি, পেকুয়া উপজেলা জামায়াতের আমির আবুল কালামের নাম রয়েছে। তবে এই ৬ টি মামলায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ।
পাঠকের মতামত