স্পোর্টস ডেস্ক: বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা পেয়ে প্রথম ম্যাচেই বল হাতে দলকে জিতিয়েছেন তাসকিন। এমন পারফরমেন্স প্রত্যাশা করেননি খোদ পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। তাসকিনের আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করেছেন ওয়ালশ।
সাথে অধিনায়ক মাশরাফির ওপরও সন্তুষ্ট ওয়ালশ। দল যখন নিশ্চিত হারের দিকে এগুচ্ছিল তখন পেসারদের শেষ মুহূর্তের দৃঢ়তা প্রমাণ করে যে কোন মুহূর্তে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে আনতে পারে রুবেল, তাসকিন, মাশরাফিরা।
তাসকিন আহমেদের ফেরাটা যেন সিনেমাকেও হার মানায়। বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চের ঝলমলে আলোতে ফিরে শুরুতে যেন খানিকটা ভরকে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্পিড স্টার। আর সেটাই তো স্বাভাবিক, কত শত ক্যামেরার চোখ, কোটি ক্রিকেট প্রেমীর প্রত্যাশার চাপ।
Sponsored by Revcontent
Luxury SUV Deals: What You Should Know. All on Yahoo Search!
তাসকিন যখন আবারো বল হাতে ফেরেন তখন তার ওপর পাহাড়সম চাপ। সেই চাপ যখন উতড়ে গেলেন পেস বোলিং কোচ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ওয়ালশ বলেন, ‘এদিন তাসকিন খুব খারাপ বোলিং করবে এটাই সব থেকে স্বাভাবিক। সে রান দিবে, ওয়াইড বল করবে, নো বল করবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু সে চাপ নিয়ে তার সেরাটা করে দেখিয়েছে। আমার ম্যান অফ দা ম্যাচ তাসকিন।’
১৮ বলে দরকার ২৭! এর আগে ছয় ওভারে ৪৯ রান দেয়া বোলারের কথা তখন কে ভাববে। ভাবলেন অধিনায়ক মাশরাফি। তার আস্থার প্রতিদানও দিলেন তাসকিন। কোচের ধন্যবাদটা প্রাপ্য ছিল ম্যাশের।
তিনি বলেন, ‘যদি ম্যাচটি একটু দেখেন। তাহলে বোঝা যায় ৪৫ ওভার পর্যন্ত ম্যাচেই ছিল না বাংলাদেশ। মাশরাফির চিন্তা দুর্দান্ত। সে কঠিন মুহূর্তে বড় সিদ্ধান্ত নিতে জানে। সে নিজেও ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছে। সাকিব আর মাশরাফি দু’জনই সিনিয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।’
ম্যাচের অধিকাংশ সময় আধিপত্য ছিলো আফগানদের। কিন্তু সেই চাপ সামলে যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সেটা প্রমাণ করে তাসকিন-রুবেলদের যোগ্যতা।
কোর্টনি বলেন, ‘পেসারদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস কাজ করছে। শেষ ১৮টি বল যদি ব্লক হোলে করতে হয় সেটাও করতে পারবে বাংলাদেশের পেসাররা। তাসকিন সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছে। এমন জয়ে দলের আত্মবিশ্বাসএখন তুঙ্গে।’
পেস বোলারদের দক্ষতার চেয়ে কখনো কখনো বড় হয়ে ওঠে মানসিক দৃঢ়তা। ওয়ালশের বার্তাও সেই মনোবল বৃদ্ধি, যাতে চাপে ভেঙে না পড়ে পাল্টা আঘাত করা যায় প্রতিপক্ষকে।